পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
সহযোগিতায় শামীম ইসলাম সিপাইপাড়া।
পঞ্চগড় জেলাকে বলা হয় হিমালয় কন্যা।এই জেলাটি সর্ব উওরে হওয়ায় এবং নেপালের হিমালয় পর্বতের কাছে হওয়ায় এখানে প্রতি বছর বাংলাদেশের সর্বনিম্ন -০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নেমে আসে।
পৌষ আর মাঘ মাস পড়ার সাথে সাথে যেন পঞ্চগড় জেলা হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার ক্যামিরেন হাইল্যান এর চেয়েও বেশি।প্রতি বছরের ন্যায় এবার সবচাইতে বেশি ঠান্ডা পড়েছে।
পঞ্চগড়ের সিপাই পাড়া গ্রামে কিছু লোকের সাথে আলোচনা করে জানা যায় যে এই বার আমাদের এখানে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা।সকাল ও সন্ধা বেলায় আগুন তাপতে হয়। এত ঠান্ডা যে কম্বল গায়ে নিয়েও কোন লাভ হয় না।এবং ভোর রাত থেকে শুরু হয় কুয়াশার মত বৃষ্টি।
হিমালয় কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দেখা মিলেছে ঘন কুয়াশার। এ কুয়াশা যেন চোখে কোন কিছু দেখা যায় না।এ কুয়াশায় যেন জানান দিচ্ছে এ জেলায় শীতের সর্বনিম্ন শরত। ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে চারপাশ। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে দেখা যায়। তবে দিনের তাপমাত্রা কয়েক গুণ হাড়ে বেড়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছে,একটু একটু করে প্রতিদিন শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।প্রতি রাতে এখন কাঁথা কম্বল ঢাকা নিতে হচ্ছে।
সরজমিনে এসে নিজে পর্যবেক্ষণ করে দেখি ভোর বেলা ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে জেলার চারপাশ।সকাল ১১ টা পর্যন্ত যানবাহনে হেডলাইন জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে চালকদের।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.২ ডিগ্রি ও পঞ্চগড়ে রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিন গড়িয়ে দুপুরের পরে সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলের আগেই সূর্য হারিয়ে যায়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে গ্রামের মানুষেরা খড়ুকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সড়ক-মহাসড়কে গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর ১০ এর নিচেই ওঠানামা করছে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।”