শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন

অসুস্থ্য হকার শফিকে ঈদ সামগ্রী দিলেন চৌগাছার সাংবাদিকবৃন্দ

মোঃ আসিফ ইকবাল যশোর প্রতিনিধি।
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আসিফ ইকবাল
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছায় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বছরের পর বছর শয্যা শাহি পত্রিকা পরিবেশক (হকার) শফি উদ্দিনের বাড়িতে ঈদ সামগ্রী নিয়ে গেছেন চৌগাছার সাং বাদিক নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অসুস্থ্য শফি উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি উপজেলার হুদা ফতেপুর যান এবং তার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি শফির ছোট্ট মেয়ে জান্নাতি আক্তারের হাতে ঈদ সামগ্রী তুলে দেন।

এ সময় প্রেসক্লাব চৌগাছার সদস্য সচিব দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার চৌগাছা স্টাফ রিপোর্টার মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম আহবায়ক ইমাম হোসেন সাগর, ফারুক হোসেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ সভাপতি খলিলুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক এম হাসান মাহমুদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চৌগাছার পত্রিকা পরিবেশক (হকার) শফিউদ্দিন শফি ২০১৮ সালে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। অভাব অনাটনের সংসারে অর্থ অভাবে হয়নি চিকিৎসা। অসুস্থ্য হওয়ার বছর যেতে না যেতেই ২০১৯ সালে স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

সংসারে একমাত্র ছেলে তখন স্কুল পড়ুয়া আরিফ হোসেন ও ছোট্ট মেয়ে জান্নাতি আক্তার স্কুলের বারান্দায় তখনও যায়নি তারা চরম অসহায় হড়ে পড়েন। আরিফ এখন অনার্স পড়ে আর জান্নাতি আক্তার ৭ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।

সেই থেকে দুই ভাইবোন সংসারের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছে লেখাপড়া। নুন আনতে পান্তা ফুরায় সংসারে বাবা ব্রেনস্ট্রোকে আকান্ত হয়ে শয্যাশয়ী মমতাময়ি মা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। নেই নিজেরদের এক টুকরা জমি।

পরের (চাচা) জমিতে টিনের ঝুপড়ি ঘরে অসুস্থ্য বাবা আর বোনকে নিয়ে নিদারুন কষ্টে দিন যায় রাত আসে আরিফের। উপজেলা প্রশাসনসহ সমাজের অনেক বৃত্তবান তাকে নানা আশ্বাস দিয়েছেন এমন কি নিজের টিনের ঘরের পশ্চিম পাশে সরকারী ভাবে তৈরী করা একটি বাড়িও দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয় কিন্তু নিয়তির খেলা সেটিও হয়নি।

আরিফ আবেগ জড়িক কন্ঠে বলেন, অনেক কষ্টে অনার্স পড়া শেষ পর্যায়ে একটি চাকরির স্বপ্ন দেখি কিন্তু সেটি কি আদৌও হবে।

একটি নির্দিষ্ঠ আয় হলে বাবাকে চিকিৎসা করাতে পারতাম, বোনটি বড় হচ্ছে তাকেও হয়ত ভাল এক টি পাত্রের হতে তুলে দিতে পারতাম কিন্তু এই স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যাবে।

বাৎসরিক উৎসব এলে আপনারা (সাংবাদিক আ ঙ্কেলরা) আসেন অনেক কিছুই দিয়ে যান, এরপর আর কেউ খোজ রাখে না।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ