লালমনিরহাট স্টাফ রিপোর্টার
ফারহিন মোস্তফা
দেশের বৃহত্তম জেলা লালমনিরহাটে আলু চাষিরা পরিচর্যায় এখন ব্যাস্ত সময় পার করছে। আলু তোলার ভরা মৌসুম না হলে ও আগাম জাতের আলু ইতিমধ্যে বাজারে সয়লাব হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারনে ও আলু গাছ ভালো রাখতে ও বাম্পার ফলন পাওয়ার আশায় জমিতে প্রতিষেধক হিসেবে ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করছে আলু চাষিরা। কৃষি কর্মকর্তা জানান নিবিড় বাষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচি আওতায় চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় এবার ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর লক্ষমাত্রায় বিপরীতে আলু চাষ হয়েছে। ৪১ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ মাত্রার চেয়ে ১ হাজার ১২০ হেক্টর বেশি। এতে আলুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৩১ মেট্রিকটন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হয়ে থাকে। মাঠে চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ আলু ক্ষেত। গত বছর আলুর ভালো দাম পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় এবার ও কৃষকরা ঝাপিয়ে পড়ে জেলার আলু চাষিরা। আলু লাগানোর পর মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকায় আগাম জাতের আলুতে এবার বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মন পাওয়া যাবে বলে জানান কালিগন্জ উপজেলা ২ নং মদাতি ইউনিয়ন কৈটারি গ্রামের আলু চাষি মহরম মিয়া তিনি এবার ২একর ১৬ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেন। গত বছরে আলু চাষ করে লাভবান হয়েছেন বলে জানান। প্রতি ১ বিঘা জমিতে এবার আলু উৎপাদন খরচ পরবে ১৩ থেকে ১৪ হাজার এর মতো বলে জানান কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুরুজ জানান আলু ক্ষেতর ছত্রাকনাশক ব্যাবহার সম্পর্কে তিনি বলেন ক্ষেত এ আলু গাছ ভালো থাকলে ও অতিরিক্ত ঠান্ডা এর কারনে কৃষকরা লেটব্লাইট রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ছত্রানাষক প্রয়োগ করছেন আলু ভালো রাখার জন্য এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এবার ২০ হাজার লিফলেট বিতারন করা হয়েছে বলে জানান