মোঃ আসিফ ইকবাল রকি
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে কৃষকের বোরো ধানের অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেটে রাখা ধান পানির নিচে আর যে সকল ধান এখনো কাটা হয়নি অধিকাংশ শিলার আঘাতে ঝরে পড়েছে। কৃষক এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবে সেই চিন্তায় বিভোর।
সোমবার দুপুর দুইটার দিকে চৌগাছের আকাশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে, এরপর শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিমঝিম বৃষ্টি, সেই সাথে শিলা পড়তে থাকে।
একপর্যায়ে বৃষ্টি কম হলো প্রচুর পরিমাণে শিলা পড়তে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে শিলা বৃষ্টি কারণে চৌগাছায় উঠতি ফসল বিশেষ করে বোরো ধানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমান যে সময় চলছে এই সময়ে কৃষকের বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম।আর এই ভরা মৌসুমে হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার সিংহঝুলী গ্রামের কৃষক আলম দফাদার, শাহিনুর রহমান জানান, তাদের এলকায় এখনো অর্ধেকের বেশি ধান মাঠেই রয়েছে। অনেক কৃষক ধান কেটে জমিতেই রেখেছিলেন বৃষ্টির কারণে ওই সকল ধান এখন পানির নিচে। আবার যারা দুএকদিনের মধ্যে ধান কাটবে বলে মনস্থির করেছে তাদের ক্ষতি সব থেকে বেশি হয়েছে। শাহিনুর রহমান আরো জানান এবছর তিনি ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। এরমধ্যে চার বিঘা ধান এখনো মাঠে আছে, শিলার আঘাতে ওই চার বিঘা ধান পুরো জমির সাথে মিশে গেছে।
উপজেলার টেঙ্গুরপুর গ্রামের ভুট্টো খান, আন্দারকোটা গ্রামের বাবুল আক্তার জানান, হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে তাদের মাঠে কেটে রাখা বোরো ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই পূরণ হবার না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিটি গ্রামের কৃষকের হঠাৎ বৃষ্টিতে ফসলের বিশেষ করে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বোরো ধান বর্তমানে পানির নিচে। আর যেসব ধান এখনো কাটার সম্ভব হয়নি সেই ধান শিলার আঘাতে ঝড়ে পড়েছে জমিতে।
এদিকে একটানা শিলাবৃষ্টির কারণে মাঠে পটল,কচু, উচ্ছে,বরবটি, তিল সহ নানা ধরনের সবজিরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্ক করছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন জানান, বর্তমানে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে চৌগাছাতে। হঠাৎ শিলা বৃষ্টির কারণে কৃষকের মাঠে বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগন বৃষ্টি থামার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকায় ছুটে গেছেন, তারা কেটে রাখা ধান খেত থেকে পানি বের করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষককে। আমরা কৃষি অফিস সর্বদা কৃষকের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।