শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া,
সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি পুরস্কার বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
এবারের উৎসবে শিক্ষার্থীরা কুরআন তেলাওয়াত, ইসলামী সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, ব্যাঙ লাফ, বিস্কুট দৌড়, ছাত্রীদের বালিশ ও বল নিক্ষেপসহ নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী সাজ ও পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগের ইনচার্জ উস্তায আরমান হোসাইনের সঞ্চালনায় উৎসবের সার্বিক দিক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক মাওলানা মোঃ শামছুল আলম।
পুরস্কার বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রামগঞ্জ সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক জনাব শাহাদাত হোসাইন এবং ডাঃ আমির হোসেন লাভলু উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন তুলে ধরেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তাদের চারিত্রিক গঠন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতায়ও দক্ষ হতে হবে। এ ধরনের উৎসব তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।”
শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে এমন আয়োজনকে অভিভাবকরা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। তারা আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এ ধরনের সৃজনশীল ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।