রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

শেরপুরের নকলায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় শীতের পিঠার বিক্রির মহা উৎসব শুরু,প্রতিদিন বিক্রি লাখ টাকারও বেশি।

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: রকিব হাসান রবিন, নকলা, শেরপুর।
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: রকিব হাসান রবিন, নকলা, শেরপুর।

হেমন্তের সোনালী ডানায় ভর করে শীত নেমেছে শেরপুর জেলার নকলায়। আর শীত মৌসুম এলেই পাহাড়ি এলাকার পার্শ্ববর্তী উপজেলা নকলায় শীতের পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। উপজেলা শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের রাস্তার মোড়ে, অলিতে-গলিতে, বিভিন্ন হাট-বাজারে চলে শীতের পিঠার বেচাবিক্রি। পিঠা বিক্রি করে একদিকে যেমন বিক্রেতারা সংসার চালাচ্ছেন অন্যদিকে বাজার থেকে এসব পিঠা কিনে খেয়ে শীতের পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন ক্রেতারা।শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বাড়ছে মুখরোচক শীতের পিঠার। প্রতিদিন বিকেল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে শীতের পিঠার বেচাকেনা।একইভাবে শহরের অলিগলি, পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজারে পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা। তাদের বাহারি সব পিঠাপুলি নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। এ সব দোকানগুলোতে দাঁড়িয়ে বা বসে লাইন দিয়ে পিঠা খেতে দেখা যায়।

এ শীতে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশি। ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী শুটকি ভর্তা, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচসহ ২০ পদের ভর্তা দিয়ে পিঠা পরিবেশন করা হয়। গরম গরম পিঠা পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি। এখানে প্রতিটি ভাপা পিঠা ১০টাকা ও চিতল পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

এসময় উপস্থিত ক্রেতা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(BMSF) নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ শফিউজ্জামান রানা সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান ও অন্যান্য সদস্যগণ জানান, গ্রাম বংলার একটা অন্যতম উৎসব এ পিঠা উৎসব। শীতের এ মৌসুমে এখানে শীতের পিঠা বিক্রি একটা মেলার মতো হয়। আমরা সংগঠনের সবাই প্রায়ই আসি এখানে শীতকালীন পিঠা খেতে আসি।

উপস্থিত অন্যান্য ক্রেতারা আরও জানান, শীতের সঙ্গে শীতের পিঠার গভীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমরা যারা ভোজন রসিক তারা মৌসুমী এ পিঠার স্বাদ নিতে এখানে ছুটে আসি। এখানে নানা রকমের ভর্তা দিয়ে পিঠা বিক্রি করা হয়।

বিক্রেতেরা বলছেন, শীতের এই তিনমাস অন্য কাজ বাদ দিয়ে প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন আইটেমের পিঠা বিক্রি করে থাকেন তারা। শীত মৌসুমে এই পিঠা বিক্রি করে ভালোই চলে তাদের সংসার।

জানা যায়, শুধু শহরে অবস্থিত ভূমি অফিসের সামনে ও উপজেলার অর্ধ শতাধিক পয়েন্টে কয়েক লাখ টাকার পিঠা বিক্রি হয়ে থাকে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ