
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: রকিব হাসান রবিন, নকলা, শেরপুর।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন বেড়েছে চিকিৎসা সেবার মান
৫০ শয্যা বিশিষ্ট নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে অতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকলেও সেই অবস্থার এখন অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।
জানা গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান এখানে যোগদানের পর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে সবাই যাতে ভালো পরিবেশ পান, সেই ব্যাপারে তিনি অন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
তিনি এখানে যোগদানের আগে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ শাসনামলে হাসপাতাল এলাকার মধ্যে দালাল বখাটে ও মাদকাসক্তদের দিন-রাতভর আড্ডা ছিলো। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় তিনি প্রথমেই দালাল বখাটে ও মাদকাসক্তদের আড্ডা প্রতিরোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনো।
তারপর তিনি নজর দেন হাসপাতালের ভিতর-বাহিরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নসহ ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের কর্মকর্তা/কর্মচারী যাতে শৃঙ্খলিত পরিবেশে নিজ নিজ কর্ম সঠিকভাবে পালন করেন সেই ব্যাপারে সচেষ্ট হন।
চিকিৎসা সেবার মান ভালো করার লক্ষ নিয়ে তিনি পুরো হাসপাতাল মনিটরিং এ রাখার চেষ্টা করেন। হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিয়োজিতরা ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী তাদের কাজকর্মে ফাঁকি না দিতে পারেন সেদিকে মনিটরিং করেন।
তিনি গত ২০২২ সালের মার্চের শেষের দিকে হাসপাতালে যোগদান করেন। নানা প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকুলতার মধ্যেও মাত্র দুই বছরের মধ্যে এখানে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে তিনি ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্যে আমল পরিবর্তন এনেছেন।
তিনি এখানে জরুরী বিভিাগে চালু করেছেন ইসিজি ও আর, বি,এজ পরীক্ষা। গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যসেবা ও তাদের সার্বক্ষনিক খোজ-খবর নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই হাসপাতাল থেকে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অনেক আন্তরিক।
এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় সিজার না হলেও নরমাল ডেলিভারী এখানেই করা হয়। আগামীদিনে এখানে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন যাতে করা যায় তার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে এখন মেডিক্যাল অফিসারেরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে গ্রামের মানুষ যাতে ভালো সেবা পায় সেই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্বীপ জন মিত্র এর পাশাপাশি এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাও ভালো ভুমিকা রাখছেন।
সম্প্রতি কাহালু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় এসে নবাগত উপজেলা প্রশাসক দ্বীপ জন মিত্র তার বক্তব্যে উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কর্মকান্ডে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি এখানকার স্বাস্থ্যসেবার মান বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে বেশীরভাগ ডাক্তারই কর্মস্থল ছাড়াও বাহিরে প্রাকটিস করেন। কিন্ত এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও এই হাসপাতালের আরএমও মো:মাহমুদুল হাসান নিজের কর্মস্থলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের লক্ষ নিয়ে বাহিরে কোন প্রাকটিস করেন-না। হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
ডাক্তার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, নানা প্রতিকুলতার মধ্যে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি চিকিৎসা সেবা নিতে এসে কেউ যাতে ফেরত না যায়। আমাদের সাধ্যের বাহিরে কেবল মাত্র সেই রোগী গুলোকে আমরা রেফারড করি।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ডাঃ মো : মাহমুদুল হাসান হাসপালের অনেক স্টাফই আমাকে সহযোগী করেন।