মোহাম্মদ আবু নাছের, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
ঢাকা থেকে লুট হওয়া পুলিশের একটি পিস্তল সহ এক যুবক কে নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট ) দুপুরে সেনবাগ থানায় সংবাদ সম্মেলনে অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, অস্ত্র সহ যুবককে গ্রেফতার করতঃ ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯(A) ধারায় নিয়মিত মামলা নং- ৩ রজু করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ঢাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ সহ সরকারি অস্ত্র-গুলি লুটপাট করে। এই লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি যাহাতে সন্ত্রাসী কাজে ব্যাবহৃত হইতে না পারে সেই বিষয়ে থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রহিয়াছে। ইহার ধারাবাহিকতায় ১৬ আগস্টে সেনবাগ থানা পুলিশ বিশ্বস্ত মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, সেনবাগ থানাধীন ৪নং কাদরা ইউনিয়নের মতি মিয়ার হাট এলাকার জনৈক হানিফ মিয়ার ছেলে মনির আহাম্মদ (২১) এর নিকট একটি অত্যাধুনিক পিস্তল রহিয়াছে। সে উক্ত অস্ত্রটি সন্ত্রাসীদের নিকট বিক্রির চেষ্টা করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সেনবাগ থানা এলাকায় দায়িত্বশীল সেনাবাহিনীর সহিত সমন্বয় করিয়া সেনবাগ থানা পুলিশের একটি টীম রাত অনুমান ২১.১০ ঘটিকায় সেনবাগ থানাধীন ৪নং কাদরা ইউনিয়নের মতি মিয়ার হাটের পূর্ব পাশে হানিফ বাবুর্চির নতুন বাড়ি তথা মনির আহাম্মদ এর বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আসামি মনির আহাম্মদ (২১) পিতা-মোঃ হানিফ, মাতা-সারে জাহান, গ্রাম- আহাম্মদপুর (হানিফ বাবুর্চির নতুন বাড়ী, ৯নং ওয়ার্ড, ৪ নং কাদরা ইউপি) , থানা- সেনবাগ, জেলা– নোয়াখালীকে আটক করা হয় এবং তাহার হেফাজত হইতে একটি সেমি অটোমেটিক 7.62mm পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি মনির আহাম্মদ জানান যে, তাহার প্রতিবেশী ও আত্মীয় মোঃ কাইয়ুম উক্ত অস্ত্রটি বিক্রি করিবার জন্য তাহার নিকট রাখিয়াছিল। জিজ্ঞাসাবাদে মনির আরো জানায় যে, উক্ত অস্ত্রটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাধীন থানা হইতে লুট হওয়া অস্ত্র। যে লুটের ঘটনায় কাইয়ুম সরাসরি অংশগ্রহণ করিয়াছে।
উক্ত বিষয়ে সেনবাগ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হইয়াছে। পলাতক আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রহিয়াছে।