সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৮:২০ অপরাহ্ন

সীতাকুণ্ডে খেজুরের রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গাছিরা

মো:রমিজ আলী সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

মো:রমিজ আলী
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)

শীত আসতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি। এরই মধ্যে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন গ্রাম-অঞ্চলে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। রাতে ঠান্ডা-হিমেল বায়ু আর সকালের শিশির ভেজা ঘাস-পাতাই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।

প্রতিবছর শীতের মৌসুম এলেই গাছিদের রস সংগ্রহে খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ততা বাড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

এদেরই একজন উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা গাছি মো: ফারুক। শীতের শুরুতেই সারা বছর অবহেলায় পড়ে থাকা নিজের খেজুর গাছ পরিষ্কার শুরু করেন তিনি। এরপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ এবং বিক্রির পালা। আগামী দুই মাস তাঁর কোনো ছুটি নেই। ফারুক এর মতো বর্তমানে গাছ কাটা ও রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীতাকুণ্ডের শতাধিক গাছি। এতে বাড়তি আয় হওয়ায় গাছিদের পরিবারে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে।

গাছিরা গাছ পরিষ্কারের পর বিশেষ কায়দায় বাঁশের কঞ্চির নল বসিয়ে দেন। পরবর্তীতে নলের মুখে প্লাস্টিকের বোতল বসিয়ে দেওয়া হয়। নল বেয়ে বোতলে এসে জমা হয় মিষ্টি রস। পড়ন্ত বিকেলে রসের হাঁড়ি বসানোর দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর কাক ডাকা ভোরে এসব গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর রস নিয়ে বিক্রির জন্য ছুটেন গ্রামে গ্রামে।

গাছি ফারুক জানান, বছরের অন্যান্য সময় দোকান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবে শীত মৌসুম এলেই দোকানের পাশাপাশি রস সংগ্রহর লক্ষ্যে খেজুর গাছ ছোলার কাজ শুরু করেন তিনি। গ্রামাঞ্চলে রসের চাহিদা খুব বেশি। সে তুলনায় গাছ কম বলে জানান তিনি।

ফারুক বলেন, এক সময় গ্রামাঞ্চলে প্রচুর খেজুর গাছ ছিল। সে সময় বাজারে হাঁড়ি হিসাবে রস বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন গাছ কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করতে পারছেন না। তাই রসের দামও বেশী। প্রতিকেজি খেজুরের রস ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের এ সময়ে খেজুর রস বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি টাকা উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা আয় করা যায় বলে জানান তিনি।

কুমিরা এলাকার গাছি মোঃ রমিজ আলী পেশায় একজন কৃষক।তিনি জানান। নিজের জমিতে দিন মজুরীর কাজ করে পরিবার চালান। তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন শীতকালীন এ মৌসুমি খেজুর রসের জন্য। এ সময়টা তাঁদের খুশির সময়।কুমিরা ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘চমৎকার ও সুমিষ্ট এ খেজুরের রস এখন গ্রামীণ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর শীতকাল এলেই গ্রামাঞ্চলে পিঠা, পুলি তৈরীর ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হয় পিঠে উৎসব।’

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ