সুমাইয়া মোস্তাকিম;বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ও মানহানিকর স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বার বেলা ১১টায় মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ে তার অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম এক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, আমি গত ৩ বছর হলো সরকারি বিধি মোতাবেক মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসিতেছি। হঠাৎ জানতে পারি আমাকে ও আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জড়িয়ে মহাস্থান ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা তার ফেসবুক এ্যাকাউন্টে লিখেছেন, প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে চাকুরিতে যোগদান করেন। এটি সম্পুন্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারন আমি যখন এই বিদ্যালয়ে যোগদান করি তখন তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন তিনি প্রতিবাদ করেননি কেন? তিনি আরও বলেছেন, ডুপ্লিকেট ভাউচার দ্বারা টাকা পকেটে রাখেন। এটিও মিথ্যা, বানোয়াট। বিধি মোতাবেক টাকা উত্তোলন- ও বিদ্যালয়ের সকল কাজের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে ব্যয় করা হয়। এ বিদ্যালয়ে অনিয়ম বা কথিত কথনের ভিতর কোন সত্যতা নেই। সে শুধু আমাকেই নয় মহাস্থান এলাকার একজন গুণী শিক্ষক সুফি আলমকে জড়িয়েও মিথ্যা মনগড়া ফেসবুকে পোস্ট করেছে। যেখানে বলা হয়েছে সুফি আলম প্রধান শিক্ষককে কু-পরামর্শদাতা। বিদ্যালয় সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে যে কোন বিষয়ে আগে থেকেই মিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এবং সবার আলাপ আলোচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এখানে কারো একক সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ গ্রহণ যোগ্য নয়৷ তিনি আরও বলেছেন, প্রধান শিক্ষক ৪র্থ শ্রেনীর চারজন কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্য করেছেন। এখানে বলতে চাই আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা একজন জ্ঞানহীন ব্যক্তির পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক বা কর্মচারী সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের বিষয়ে কোন প্রধান শিক্ষকের নিজস্ব পাওয়ার নেই। তিনি আরও বলেছেন, ১ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ রেখেছেন। আসলে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও পরিপন্থী কাজ করেছে। পরে ম্যানেজিং কমিটি তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করে আপাততে তার বেতন স্থগিত করেন। এখানে প্রধান শিক্ষকের কি করার আছে। আসলে প্রকৃত সত্য হলো আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশা বিগত সময় মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য থাকা কালীন অনেক অন্যায় আবদার করেন। তিনি নিজেই এসব কৌশল তৈরির প্রস্তাব দিয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তার কথায় সম্মতি দেইনি। সেই ক্ষোপ থেকে এতদিন পর দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগানোর অপচেষ্টা করছেন। মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয় শিবগঞ্জ উপজেলার ভিতর যেখানে একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আর আমি এক মহাস্থানগড় পুন্ড্রভূমিতে অবস্থিত মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পূর্বে আমার কোন এমন অকথ্য কাজের রেকর্ড নেই। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহলের ইন্দনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী ও অপপ্রচারের মাধ্যমে মানহানী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন তিনি আরও বলেন, এতে শুধু আমার মানক্ষুন্নই নয়। ১৯৬৮ই সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনামও ক্ষুন্ন হয়েছে। মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো ব্যক্তি আবু বক্কর সিদ্দিক বাদশাসহ যারা এর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, সুফি আলম, সোহেলী পারভীন, আয়েশা সিদ্দিকা, শহিদুল ইসলাম, মেহেরুল ইসলাম, সিরাতুল জান্নাত জুয়েল, খাইরুল ইসলাম শহীদুল ইসলাম, এসএম হাবিবুর রহমান, ফেরদৌস আলম, তোয়াফ মন্ডল, জাহিদুল ইসলাম, দপ্তরি জাহিদুল ইসলাম, মোহাজ্জেল হোসেন, বিলকিছ খাতুন, গোলাম রব্বানী, আজিজুর রহমান প্রমূখ।