সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

তিন লাখে ৯ লাখ দিয়েছেন এখন লিখে নিয়েছে বাড়ি ! চৌগাছার চিহৃত সুদখোর লালের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী আমির আলীর সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছা (যশোর) পতিনিধি।
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

চৌগাছা (যশোর) পতিনিধি।

যশোরের চৌগাছার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুদখোরের পাল্লায় পড়ে দিশেহারা। সুদে ৩ লাখ টাকা গ্রহন করে ৯ লাখ টাকা লাভ দিয়েছেন, এরপর কৌশলে সুদখোর তার ভিটেবাড়ি লিখে নিয়েছেন। সম্প্রতি সুদখোর বাড়ি দখলে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পাই। শনিবার সকালে প্রেসক্লাব চৌগাছায় সংবাদ সম্মেলনে এমই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী। তিনি সুদখোরের কবল হতে রক্ষা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চৌগাছা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাকপাড়া মহল্লার বাসিন্দা মুরগী ব্যবসায়ী আমির আলী। উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন বকুলের ভাই সোহরাব হোসেন লালের নিকট হতে তিন লাখ টাকা সুদে নিয়ে ৯ লাখ টাকা লাভ দিয়েও হয়নি টাকা পরিশোধ। এখন ওই সুদখোর তার ভিটেবাড়ি লিখে নিয়েছে, অসহায় মুরগী ব্যবসায়ী ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।
লিখিত বক্তব্যে আমির আলী বলেন, ২০১০ সালে উপজেলার স্বরুপদাহ গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন লালের নিকট হতে একাধিক সময়ে ৩ লাখ টাকা সুদে গ্রহন করেন। প্রতিদিন তিনি ৫শ টাকা করে তাকে লাভের টাকা পরিশোধ করে আসছেন যা খাতায় স্বাক্ষর করা আছে। মাঝে মধ্যে টাকা দিতে দেরি হলে সে কৌশল অবলম্বন করেন যা আমার অজানা ছিলো। ২০১২ সালে কতিপয় ব্যক্তি দিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। ২০১৪ সালে ব্যবসায় চরম খারাপ অবস্থা দেখা দিলে আমি চলে যাই ঢাকাতে। সেখানে কঠোর পরিশ্রম করে কিছু টাকা রোজগার করি এবং ২০১৮ সালে বাড়িতে ফিরে আসি। এরপর সোহরাব হোসেন লালের বাড়িতে যেয়ে ১ লাখ টাকা দিয়ে আমার স্বাক্ষরের সেই স্টাম্প ফেরত চাই। তিনি টাকা গ্রহন না করে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি কিছু দিন পরে সব ঠিক করে নিলে হবে। তারপর কেটে গেছে বেশ কয়েক বছর, তিনি কোন টাকা চাইনি আর আমিও তাকে কোন টাকা দেয়নি। আমি ঢাকা থেকে এসে মাছবাজার সংলগ্ন হাটচাঁদনিতে পুনরায় মুরগীর ব্যবসা শুরু করি। এসময় সুদখোর লালের ছোট ভাই মুকুল আমার নিকট হতে মুরগী নেয় এবং বলে আমার ভাইতো তোমার নিকট টাকা পাবে খাতায় বাকি লিখে রাখো কাটাকাটি করলে হবে। এভাবে সে আমার নিকট হতে ৪৭ হাজার টাকার মুরগী বাকি নিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ঢাকা হতে ফিরে আসার পর সুদে ব্যবসায়ী লাল তাকে বলেন, স্টাম্প করার পর তোমার বাড়ি আমার নামে হয়ে গেছে, তুমি বাড়ির মুল দলিল আমাকে দিয়ে যাও সংশোধন করে স্টাম্প আর দলিল এক সাথে ফেরত দিবো তখন তুমি টাকা ফেরত দিও। আমি সহজ সরল মনে তার নিকট মুল দলিল রেখে আসি। এই সুযোগে তিনি দলিল নিয়ে আমার নামে আদালত হতে একটি রায় বের করেছে (যা ওদের বক্তব্য) এবং চলতি মাসের ২২ তারিখে সুদখোর লাল ও তার ভাই বকুল এবং মুকুল আমার বাড়ি দখল করতে যাই। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে সুদখোর লাল ৩ লাখের বিপরীতে ৯ লাখ টাকা নিয়েছে আবার বাড়ি লিখে নিয়েছে, আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা প্রায় সময়ই আমাকে হুমকি দিচ্ছে আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসাবাস করছি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় ব্যবসায়ী আমির আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম ও পুত্রবধু রুমা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন লাল বলেন, ২০১২ সালে আমির আলী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে বাড়ি বিক্রির জন্য আমার নিকট হতে ৭ লাখ টাকা নিয়ে রেজিষ্ট্রি করে দেন। আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অসত্য বলে তিনি জানান।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ