মোঃ নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট জেলা শহরের একই স্থানে একই সময়ে বিএনপির দুই পক্ষ সমাবেশ ডাকায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে সদর উপজেলার পুরো এলাকা। তবে একটি পক্ষ ১৪৪ ধারা শুরুর আগেই সম্পুর্ণ করেছেন ভোট গ্রহনের মাধ্যমে কাউন্সিল।
পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলারপ্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর এই আইন জারি করেন।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জয়পুরহাট পৌর ও সদর থানা বিএনপির সম্মেলন কেন্দ্র করে সকল প্রস্ততি নিয়েছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন ও এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান।
তবে স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ এনে আরেক পক্ষ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মতিয়র রহমানের লোকজনদের বাদ রাখার অভিযোগে শহরে লাগাতার মশাল ও বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে । এসব অভিযোগে মতিয়র রহমান ও তার লোকজন অপরপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তারা অপরপক্ষের বিরুদ্ধে ২৯ অক্টোবর জেলা শহরে বিক্ষোভ করেন। ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেন এবং ৩১ অক্টোবর দুপুরে শহরের সড়কে মিছিল করেন। এছাড়া শুক্রবার পৌর ও সদর থানা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দেন তারা।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, মাসুদ রানা প্রধান বলেন, একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতি করার লক্ষ্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আজকে শহরের নতুন হাটে পৌর ও উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলের জন্য প্রস্ততি গ্রহন করা হয়। এই কাউন্সিল বানচালে একটি পক্ষ ওই স্থানেই সমাবেশের ডাক দেয়। এমন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন আজ সদর উপজেলা জুড়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এজন্য ১৪৪ ধারা শুরুর আগেই আমরা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ও পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিল শহরের জানিয়ার বাগানে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল সম্পুর্ণ করেছি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মহাউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বিএনপির দুই পক্ষ একই সময়ে ও একই স্থানে কাউন্সিল অধিবেশন ডেকেছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও জন-সাধারণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনায় শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।