1. admin@alorbangladesh.com : Alor Bangladesh : Dainnik alor Bangladesh
  2. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক দুম্বার মাংস বিতরণ । সীতাকুণ্ডের কুমিরায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রাজস্থলীতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। বাগেরহাটে ছাত্রদল নেতার গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ধামরাইয়ে আশরাফ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাস পার্টি নানা আয়োজনে। কালিয়াকৈরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত সাংবাদিকতায় দেশের সম্মাননা অর্জন করার পাশাপাশি বিদেশের সম্মাননাও অর্জন করতে বাদ রাখছেন না শেরপুর জেলাধীন নকলা উপজেলার কৃতি সন্তান সাংবাদিক ডাঃ শফিউজ্জামান রানা। নকলা সরকারি কোয়ার্টারে রং রিপিয়ারিং কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আসলাম চৌধুরীর অনুদান।

নিজস্ব প্রতিবেদক।
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্রজনতার গণরোষের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে সমন্বয়কদের সাথে এক টেবিলে বসে খাবার ছবি এবং তাদের দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।

তার এই কর্মকাণ্ডকে জাতির সাথে মশকরা বলেও মন্তব্য করেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের এমন মন্তব্যের পরও ওই ছয় সমন্বয়কারীকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয় প্রায় এক সপ্তাহ। এর মাঝে তার একটি আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

পরে ১ আগস্ট তাকে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস শাখায় পদায়ন করা হয়। নতুন অফিসে সবশেষ ২ আগস্ট দায়িত্ব পালন করেছিলেন হারুন। এরপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে পলাতক আছেন পুলিশের অন্তত ৫৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এর মধ্যে আছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়ন্দা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদও।

পুলিশের এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে তাকে নিয়েই জনমনে এখন প্রবল জিজ্ঞাসা, কোথায় আছেন এই ডিবির হারুন। তার পরিবারের সদস্য, পুলিশের সহকর্মী ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিনি নিজের বাসা এমনকি আত্মীয়স্বজন কারো বাসাতেই থাকছেন না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে- লাখো জনতা সোমবার দুপুর থেকে নেমে আসে ঢাকার রাজপথে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকা, পোস্তগোলা দিয়ে প্রথমে শহীদ মিনার ও পরে গণভবনের উদ্দেশ্যে ঢলে অনেকে সচিবালয় ও বঙ্গবাজারের সড়ক দিয়ে এগোতে থাকেন।

ডিএমপির সেন্ট্রাল কমান্ড ও কন্ট্রোল ইউনিট ভবনের সামনে থাকা বঙ্গবন্ধুর বিশাল ব্যানার টানানো দেখে উত্তেজিত জনতা ভবনটিকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এর মধ্যেই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ব্যানারটি সরিয়ে ফেলা হয় ও সামনের মূল ফটক আটকে দেয়া হয়। তবে জনতা ভবনটির প্রাঙ্গণে ঢুকতে না পারলেও- বাইরে থেকে মুর্হমুহু ইট মারতে থাকে। প্রাণভয়ে এর মধ্যেই অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তাদের ইউনিফর্ম খুলে ফেলেন। গেঞ্জি বা অন্য কোনো পোশাক পরে সেন্ট্রাল কমান্ড ও কন্ট্রোল ইউনিট ভবনের পেছনের প্রায় ১৩ ফুট দেয়াল টপকে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের রাস্তায় পড়েন। ঠিক একই কায়দায় দেয়াল টপকাতে গিয়ে পায়ে ও শরীরের নিচের অংশে ব্যাপক আঘাত পান ডিআইজি হারুন অর রশীদ। পরে সেখান থেকে তিনি আইজিপির সাথে চলে যান পুলিশ সদর দপ্তরে।

বিকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবারো পুলিশ সদর দপ্তর লাগোয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দেয়াল টপকে কোন রকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেন হারুন। ওইদিন রাতে তিনি কোথায় ছিলেন সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, তিনি কুটনৈতিক এলাকায় একটি দূতাবাসে/হাইকমিশনে আশ্রয় নেন।

২০০৬ সালে ডিভি লটারিতে আমেরিকার ভিসা পান হারুনের স্ত্রী। বৈধ ভিসা থাকায় সেই সূত্রে আমেরিকা পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। যোগাযোগ করেন মার্কিন দূতাবাসেও, নিশ্চয়তা চান তাকে অক্ষত অবস্থায় বিমানবন্দরে বিমানে তুলে দিয়ে আসার। তবে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, তার প্রস্তাব নাকচ করে দেয় দূতাবাস। পরে তিনি সেখান থেকে ফিরে আসেন।

এরপর বিকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সোয়াটের একটি গাড়ি তাকে মিরপুরের দিকে একটি জায়গায় দিয়ে আসে। সেখানে কিছু ব্যক্তির সাথে আলাপ করে- বিমানবন্দর দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন হারুন। গাড়িতে করে পৌঁছেও যান বিমানবন্দরে। তবে বিমানবন্দের টার্মিনালে প্রবেশের আগেই জনতা তাকে দেখে চিনে ফেললে, মারধরের শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হারুন সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD