বাবুল রানা (বিশেষ প্রতিনিধি) মধুপুর টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে নিষিদ্ধ চায়না ও খড়া জাল দিয়ে মাছ ধরার মহোৎসব। নদনদী, খালবিল ও ডোবা জলাশয়ে পানি উঠার সাথে সাথে ছেয়ে গেছে শতশত চায়না জালে।এই জালে ছোটবড় সব ধরনের মাছই ধরা পড়ে। এজাতীয় জাল জলজ উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। চায়না জাল খাল-বিল, জলাশয়, ডোবা ও নদীতে খুব সহজেই স্থাপন করা যায়।
রেণু পোনামাছ থেকে শুরু করে ছোট বড় সব ধরনের মাছ ধরার জন্য বংশাই নদীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে খরা জাল। এজালটি নদী জুড়ে স্থাপন করতে হয় যাতে উজান থেকে আসা মাছ কোনো দিক দিয়ে বের হতে না পারে। এ খরা জালে কোনো মাছ প্রবেশ করলে আর বের হতে পারেনা, যেকারণে এ জালটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধুপুর গোলাবাড়ী ব্রীজ থেকে শুরু করে উজানে ২/৩ কিলোমিটারের মধ্যে ৪টি নিষিদ্ধ খরা জাল রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের থলঘাট থেকে শুরু করে টিকরী পর্ষন্ত শতশত চায়না জাল রয়েছে।
বিশিষ্টজনের মতে, শুধু নদীনালা খাল-বিলের চায়না জাল ধংস করলেই হবেনা, আগে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে তবেই এর ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে।