মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ড উপজেলায় এক গৃহবধূকে মারধর করে এবং খাবারের মধ্যে বিষ যুক্ত ঔষধ মিশিয়ে হত্যার পরিকল্পনার চেষ্টা করেন গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে,স্থানীয়রা সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
চাহিদামতো যৌতুক না পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গৃহবধূর মা ও বাবা অত্র এলাকার বিভিন্ন গণমান্য ব্যক্তিদের অভিযোগ দেয়।এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে অস্বীকার করে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৩ মাস আগে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা পশ্চিম মাষ্টার পাড়া এলাকার বিষ্ণুপ্রিয়া দাশ এর ছেলে ডালিম দাস এর সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই বিভিন্ন ভাবে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী ও শাশুড়ী।গৃহবধু বাবা মাকে জানালে তারা অভাব অনটনের কারণে প্রশাসনিক ভাবে কোনো মামলা করেন নি।
গত (২৮ সেপ্টেম্বর) গৃহবধূর শাশুড়ি বিষ্ণু প্রিয়া দাশ এর প্ররোচনায় স্বামী ডালিম দাশ পুনরায় চুরির অভিযোগ দেয়।বিভিন্ন কলহের একপর্যায়ে খাবারের মধ্যে বিষ যুক্ত ঔষধ মিশিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে চলে যায়,স্বামী ও শাশুড়ী।বিষ যুক্ত খাবার খেয়ে গৃহবধূ মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে গৃহবধূ। একপর্যায়ে এলাকার লোকজন খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়। তিনি স্ত্রীকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেন না। গৃহবধূর মা,বাবা দেখা করতে চাইলে বলেন, আপনার মেয়ে ভালো আছে।শুধু তাই নয়,বাবার বাড়ির কারও সঙ্গে কথা না বলার জন্য ফোন ও দেওয়া হয় না গৃহবধূকে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে গৃহবধূর বাবা,মা স্বামী ও শাশুড়ীর সাথে সমস্যা সমাধানের জন্য আসলে গৃহবধূর শাশুড়ী তাদেরকে অস্বীকার করে, এবং বিভিন্ন মামলার হুমকি ও দেন শাশুড়ী।
‘নির্যাতনের ঘটনায় গৃহবধূর মা,বাবা এলাকার আসে-পাশে লোকজনদের সাহায্য কামনা করেন। গৃহবধূ বলেন তিনি প্রায় ৩ টা বিয়ে করেছে, সবার সাথে এই ধরনের কাজ করেন বলেই কেউ থাকে না। আমি বাঁচতে চাই। আমার বাবার পরিবার মধ্যবিত্ত বলে কি আমার বাঁচার অধিকার নাই, এবং গৃহবধূ এবং তার পরিবার সীতাকুণ্ড প্রসাশনের সাহায্য কামনা করেন।