রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ইলিশ ধরায় সেকান্দর নামে ১ ব্যক্তিকে আটক করেছে এলাকাবাসী

মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বঙ্গোপসাগর নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার সময় ৩ জেলে ও ১জন এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় এলাকা বাসি।দীর্ঘ দিন যাবৎ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত কেরপালি খাল ও দিয়ামারা খাল দিয়ে এই ধরনের মৎস্য শিকার করে আসতেছে সেকান্দর নামে এক প্রভাশালী ব্যক্তি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন,বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির কিছু সংখ্যক নেতা কর্মি ও এলাকাবাসি।আটক প্রভাবশালী ব্যক্তি ,উত্তর বাশঁবাড়ীয়া হক সাহেব এর বাড়ি হাবিব উল্লাহ ছেলে মো.সেকান্দর (৫৫)।
বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীরা বলেন, আটকৃত জেলেদের বিভিন্ন ভয় ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তাদেরকে মা ইলিশ শিকার করতে নিয়ে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার জন্য প্রভাবশালী সেকান্দর ও জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলার জোর দাবি জানাই এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন, বিএনপির নামে অপপ্রচার চালানোর জন্য তিনি প্রতিনিয়ত এই ধরনের কাজ করেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কাজ কেউ না করে সেই জন্য সীতাকুণ্ড প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরসহ দেশের সকল নদনদীতে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা। মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে কেউ ইলিশ মাছ ধরতে পারবেন না। এ সময়ে সাগর ও নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার, মজুত ও পরিবহন দ-নীয় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। আইন অমান্যকারীকে অন্তত সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদ- অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দ-ে দ-িত করা হবে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ