দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পঁচা পেঁয়াজ, পোড়া তেল, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরী খাবার সরবরাহে জন্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটনের কথিত ভাগ্নে ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বানেছা বেগমের ছেলে দুর্নীতিবাজ বাদলের নামে জনস্বার্থে লিগাল নোটিশ করেছেন আলামিন হক বিজয়।
১৫ অক্টোবর রাজশাহী কোর্টের এডভোকেট মাসুদ রানার পাঠানো লিগাল নোটিশে বলা হয়, আমি আমার মক্কেল কর্তৃক আদিষ্ট ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করিতেছি যে, আপনি একজন ঠক, প্রতারক ও খাদ্যে ভেজাল খাবার প্রস্তুত কারক ব্যক্তি হইতেছেন। আপনি দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করিয়া তাহা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল অসুস্থ রোগীদের মাঝে বিতরণের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া রোগীদের খাওয়ানোর মাধ্যমে উক্ত রোগীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আপনার এই কর্মকান্ডের কথা দৈনিক রাজ বার্তা পত্রিকায় গত ০৯/১০/২০২৪ ইং তারিখে প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ার পর আমি দূর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সরজমিনে দেখি এবং রোগী ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায় আগে থেকে খাবারের মান সম্মত ও রুচিশীল হচ্ছে না এবং উক্ত খাবার আপনি নিজেও খেতে পারবেন না। কারণ আপনি বিভিন্ন স্থান হইতে রান্নার কাজে পচা ও গোলা পিয়াজ, পোড়া তেল, সম্পূর্ণ খোলা অবস্থায় রাখা মাছ, ও মাছি একত্রিত হয়ে থাকে ইত্যাদি খাদ্যে ব্যবহিত দ্রব্যদি ব্যবহার করিয়া আসিতেছেন।
এমতবস্থায়, আপনাকে এই নোটিশ দ্বারা অবগত করিতেছি যে, অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ০৭ দিনের মধ্যে আপনি মান সম্মত খাবার সরবরাহ করিবেন। অন্যথায় আমার মক্কেল এর মাধ্যমে জনসাধারণকে নষ্ট, পচা, গলা দ্রব্যদি ব্যবহার করায় আপনার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
আল-আমিন হক বিজয় জানান, পত্রিকাতে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খাদ্যে ভেজাল দেবার বিষয়টি সবার নজরে এলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করেছে। জনস্বার্থে আমি তাকে লীগের নোটিশ করেছি। ঠিকাদার বাদলের উত্তর সন্তোষজনক না হলে, জনস্বার্থে মামলা দায়ের করবো। এছাড়াও বাদল ও বানেছা বেগমের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য আমার কাছে রয়েছে, দ্রুতই দুদকে মামলা দায়ের করবো।
এদিকে ঠিকাদার বাদলের সাথে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি পলাতক ও ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।