আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগণকে অপসারণ না করার দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও প্রেরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের কলেজ মোড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ৯টি উপজেলার ৭২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগেশ্বরী ভিতরবন্দ ইউপি চেযারম্যান শফিউল আলম সফি, নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ মাসেই ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের অপসারণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
তারা জানান, তৃণমূলে নির্বাচিত এসব জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হলে গ্রাম আদালত, জন্ম ও মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ প্রদানের মত বিভিন্ন সেবা মূলক কার্যক্রম ব্যহত হয়ে পড়বে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধী জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করা হলেও সবাইকে যেন অপসারণ করা না হয়। বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার কথা জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বাকী সময় স্ব-স্ব পদে বহাল রাখার জোর দাবি জানান তারা।এমন কি দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম সফি জানান, ‘আমরা তৃণমূলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও অর্ন্তবর্তী সরকারের পক্ষে কাজ করছি, এলাকার জনসেবা দিয়ে আসছি। এ অবস্থায় আমাদেরকে অপসারণ করা হলেও জনসেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমাদের দাবি দেশের যে সকল ইউনিয়নে পরিষদ চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তদন্ত সাপেক্ষে শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।