মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী :
নোয়াখালীতে সম্প্রতি বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্হ এলাকার বাসিন্দাদের জীবন পুনর্গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারগুলো কে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে অত্র প্রতিষ্ঠানটি। নোয়াখালীতে বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার পানি কমলেও জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ কমেনি জনসাধারণের। ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট। বাড়িতে ফিরছে স্থানীয়রা কিন্তু নিজেদের বাড়িঘর কিছুই আর আগের মত নেই। ঘরবাড়ি আসবাবপত্র সবই নষ্ট হয়ে গেছে। কারো কারো ভিটে-বাড়িটিও অবশিষ্ট নেই। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা। বন্যা পীড়িত গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতায় জীবন হয়ে গেছে ছন্নছাড়া।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার ধন্যপুর আল জামিয়া মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার হল রুমে এলাকা সমূহের জলাবদ্ধতায় অবস্থানরত অসহায় ৫৩ জন মানুষ, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে ও অত্র মাদ্রাসায় নগদ অর্থ প্রদান করে। আল্লাহ এমটি হক ফাউন্ডেশনে যারা আছেন, তাদের মঙ্গল করুক। এম টি হক ( মো: তোফাজ্জল হক) ফাউন্ডেশন পক্ষে নগদ টাকা বিতরণ করেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো: ইকবাল হোসেন ভূইয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আল জামিয়া মিফতাহুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক মো: আনিসুর রহমান, মো: মাসুূুদুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ৫৩ জন মানুষ ও জামিয়া মিফতাউল উলুম ধন্যপুর ও সেনবাগ পৌরসভার দৌলতপুর- বাতানিয়া আল আমিন হাফেজিয়া মাদরাসায় নগদ অর্থ প্রদান করেছেন, এ ফাউন্ডেশন মানুষের কল্যাণে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে করার ইচ্ছা আছে। তিনি বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে ওদের জীবনটাকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক করতে ভূমিকা রাখি। উল্লেখ্য, এম টি হক ফাউন্ডেশন বন্যা কবলিত লোকজন, মাদ্রাসা, মসজিদে সহায়তা করে আসছে। তারা এমটি হক ফাউন্ডেশন কর্ণধারা তাদের নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুরস্হ পৈত্রিক বাড়ীতে মসজিদ কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা উপকৃত হবে।