মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী :
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার গেয়ে গেছে। দেশের বাহিরে চলে গেছে টাকা। দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এটার জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় হয়।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেয়ার হবে,আমাদের জন্য একটি মিথ্যা আশ্বাস। তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনো দেশে পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাস কোন কুপে পাওয়া যায়নি।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির আরও বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তবর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে আমাদের সচিবরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো । এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকেন। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমাদানি করে থাকে তাদের সাথে কথা বলে বোতল জাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে থাকে।
এসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আবদুল্লাহ আল ফারুক সহ বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশসন কোম্পানী লিমিটেডের (বাপেক্স) উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।