নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের সব কয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। হাজারো ঘরবাড়ি পানির নিচে চলে যায়। গৃহহীন হয়ে পড়েন লাখো মানুষ। রক্ষা হয়নি নকলা উপলোর অন্তত তিনটি পূজা মন্ডপ ও এর পাশ্ববর্তী এলাকা।
বন্যাক্রান্ত পূজা মন্ডপ গুলো হলো, ১নং গনপদ্দী ডিজিটাল ইউনিয়নের বিহাড়িরপাড় পালপাড়া পূজা মন্ডপ, ৩নং উরফা ইউনিয়নের চন্দন বর্মন মহাশয়ের বাড়ি দূর্গা পূজা মন্ডপ ও বারমাইসা পূর্বপাড়া রাধাগোবিন্দ মন্দির পূজা মন্ডপ।
বন্যাক্রান্ত এসব পূজা মন্ডপ ও এর আশেপাশের দরিদ্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দের জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও নকলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালি মাতা মন্দির পূজা মন্ডপের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সহায়তার মধ্যে প্রতি মন্ডপের জন্য এক বস্তা চাল, ৮ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি সয়াবিন তেল ও ২ কেজি লবন উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব ও দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার উপজেলার প্রতিটি মন্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। বন্যাক্রান্ত পূজা মন্ডপের কর্তপক্ষ যেন এ প্রসাদ বিতরণ করতে পারেন এরজন্য তাদেরকে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও নকলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালি মাতা মন্দির পূজা মন্ডপের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিটি বিতরণ কাজে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবজিৎ পোদ্দার ঝুমুর ও সদস্য সচিব আশীষ কুমার সাহা, নকলা কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী কালি মাতা মন্দির পূজা মন্ডপ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শ্রী উত্তম কুমার বণিক ও সদস্য সচিব শ্রী সুরঞ্জিত কুমার বণিকসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মন্দির ও পূজামÐপ পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
৯ অক্টোবর বুধবার ষষ্ঠি পূজার মধ্যদিয়ে দূর্গাপূজা ও দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপনী ঘটবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এ বছর নকলা উপজেলায় ১৭টি মন্ডপে দুর্গোৎসব ও দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে পৌর এলাকায় ৩টি, ১নং গনপদ্দী ইউনিয়নে ৩টি, ২নং নকলা ইউনিয়নে ১টি, ৩নং উরফা ইউনিয়নে ২টি, ৫নং বানেশ্বরদী ইউনিয়নে ১টি, ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নে ৩টি, ৭নং টালকী ইউনিয়নে ১টি , ৮নং চরঅষ্টধর ইউনিয়নে ১টি ও ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ২টি মন্ডপে দূর্গাপূজা ও দুর্গোৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।