সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

১৯ বছরে জাবির আহম্মেদ জিহাদ: নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা

এবি নিউজ ডেস্ক:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

এবি নিউজ ডেক্স:

আজ ১০ অক্টোবর, মানুষ ও মানবতার প্রেমিক এবং সায়েন্সে আগ্রহী তরুণ জাবির আহম্মেদ জিহাদের ১৯তম জন্মদিন।

২০০৫ সালের এই দিনে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার অন্তর্গত ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বৌশের গড়ে, যমুনা নদীর তীরে, তার জন্ম হয়। তার বাবা মোঃ উসমান গণী এবং মা বেগম জরিনা। ছোটবেলা থেকেই জিহাদ সাহিত্য এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চায় বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। স্কুলজীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন সাহিত্যিক প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে থাকেন।

জাবির আহম্মেদ জিহাদ শুধুমাত্র একজন সায়েন্সপ্রেমিক নন, তিনি একজন ক্ষুদে কবি ও লেখকও বটে। সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় তার অবাধ বিচরণ রয়েছে। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, এবং সায়েন্স ফিকশন লিখতে ভালোবাসেন। তার এই সাহিত্যচর্চা ধীরে ধীরে তাকে একজন প্রতিভাবান লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন পর্যন্ত তার প্রায় শতাধিক লেখা বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, এবং অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে “অন্তরবৃত্তে স্বাধীনতা” নামক যৌথ কাব্যগ্রন্থে তার লেখা “স্বাধীনতা” নামক কবিতাটি স্থান পেয়েছে, যা তাকে তরুণ কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

জাবিরের লেখা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় দেশের শিশুকিশোর মাসিক পত্রিকা “নতুন কিশোর কণ্ঠ”-এ, আগস্ট ২০১৯ সংখ্যায়। সেখানে তার লেখা অনুশীলন বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে। তার এই প্রাথমিক সাফল্য তাকে আরও উৎসাহিত করে সাহিত্যচর্চায় গভীরভাবে নিমগ্ন হতে।

জাবির আহম্মেদ জিহাদের জন্মস্থান বৌশেরগড় গ্রামটি আজ আর বাস্তবে নেই। ২০১০ সালে যমুনা নদীর ভাঙনের ফলে গ্রামটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক এই গ্রামটি আজ কেবল স্মৃতিতে বিদ্যমান। কিছু অংশ দ্বীপে পরিণত হয়েছে, আর কিছু অংশ স্রোতধারা নদীতে মিলিয়ে গেছে। গ্রাম হারালেও, জিহাদের শৈশবের স্মৃতির ভান্ডারে বৌশেরগড় এখনো অটুট রয়েছে।

তার জন্মদিনের এই বিশেষ দিনে, আমরা ফিরে তাকাই তার অতীতের দিকে, যেখানে তিনি তার সৃজনশীল দক্ষতা এবং সাহিত্যপ্রেমের মাধ্যমে অল্প বয়সেই এক অনন্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।

ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যকে ভালোবেসে বেড়ে উঠা জিহাদ ভবিষ্যতে একজন বিশিষ্ট লেখক এবং বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত একজন চিন্তাবিদ হতে চান।
জিহাদের আগ্রহ শুধু সাহিত্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি বিজ্ঞানের প্রতিও সমানভাবে আগ্রহী। তিনি বিজ্ঞানকে সমাজে পরিবর্তন আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখেন এবং তার লেখার মাধ্যমে এই বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন। সায়েন্স ফিকশন তার প্রিয় শৈলী এবং তিনি এই ধারায় নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞানের গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং সাহিত্যের নান্দনিকতা মিলিয়ে তার লেখা এক ভিন্ন স্বাদ এনে দেয় পাঠকদের কাছে।
জাবির আহম্মেদ জিহাদ একজন উৎসাহী, সৃজনশীল, এবং মানবপ্রেমিক তরুণ।

তার জন্মদিন উপলক্ষে আমরা তাকে শুভেচ্ছা জানাই এবং আশা করি, তিনি তার সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করবেন এবং সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন। তার সাহিত্যকর্ম এবং বিজ্ঞানপ্রেমের মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে আরও বহুদূর এগিয়ে যাবেন।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ