মোঃ জাকির হোসেন
বাংলাদেশ ইসলামী দল নামে নতুন একটি দলের আত্বপ্রকাশ করেছে। গত ২৫ সেপ্টমবর ২০২৪ সালে রাজধানীর একটি অভিজাত্য হোটেলে দেশ বরন্ন ওলামায়েকেরাম ও জেনারেল উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে এই দলটি সাংবাদীক সম্মেলনের মাধ্যমে আত্বপ্রকাশ করে।
দলটির সেক্রেটারী আলহাজ্ব মুফতী নজরুল ইসলাম বলেন আমাদের মূল লক্ষ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা। আমরা ইসলামিক দলগুলোকে নিয়ে একই ছাতার নিচে থাকবো এবং একে অপরের সহকারী হিসেবে চলবো কারন আমাদের নবী এক(হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ)) আমাদের কিতাবও এক (আল-কুরআন) তবে আমরা দুমুখি হবো কিভাবে। এই দল বাকি ইসলামের দলগুলোর সাথে এক সময় সমন্বয়ক হয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা ক্ষমতা অর্যন বা অবৈধ পথে অর্থ উপার্যনকরা না।
এই দল ক্ষমতায় আসলে সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে। পৃথীবির শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নেতা হিসেবে আমরা তাকেই মানি, তিনি আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তিনি আমাদের কোন ধর্মের উপর আঘাত করা শিখায়নি শিখিয়েছে কি ভাবে নিজের ধর্ম ও ইসলামকে রক্ষা করতে হবে। আমার ততক্ষা শান্ত যতক্ষ পর্যন্ত ইসলামের উপর আঘাত না আসে। ইসলামের উপর আঘাত আসলে প্রথমে প্রতিহত করব না শুনলে পাল্টা আঘাত করবো। সেক্রেটারীর বিবৃতি শেষে দলটির সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশ ইসলামী দলের আমীর ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের, সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মুফতী নজরুল ইসলাম, সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন, নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা কামরুজ্জামান সরকার, মাওলানা ওয়াহিদুল ইসলাম, মুফতী মোকাদ্দেছুল হাবিব, মাওলানা আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব মাওলানা ইউসুফ আলী, আলহাজ্ব মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা মোঃ বাচ্চু মিয়া, প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম, আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুর রহিম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামের স্বার্থে এবং দেশে মহত চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত লোকদের শাসন বাংলাদেশের ৭০ ভাগ জনগন চায়।
তাই ইসলামের কথা চিন্তা করে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ইসলামী দল সমূহের জন্য সুযোগ এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ সকল ইসলামী দল এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা। তাহলে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের মানুষ তাদের চাহিদা মোতাবেক সরকার উপহার পাবে। যেখানে থাকবে না ধর্মের পার্থক্য, মানবতা বিরোধী কোন কাজ হবে না, জুলুম-নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে, দুর্নীতি, দখল দারীত্ব নির্মূল হবে। দেশের জনগণ ইসলামীর ছায়াতলে আশ্রয় পাবে।