শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিভিন্ন স্থানে ইস্পাতের কাঁচামাল পরিবহন চুরি ও ছিনতাই আতঙ্ক

মো: ওমর ফারুক রকি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মো: ওমর ফারুক রকি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বন্দর থেকে শিল্পের কাঁচামাল (স্ক্র্যাপ) পরিবহন চুরি ছিনতায় ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ট্রাক লরিট চালকরা। ঘটেছে চালকের ছুরিকাঘাতের মতো ঘটনাও। আর, স্ক্র্যাপ পাহারা দিতে চারটি কারখানা থেকে রাখা হয়েছে ৬০০-৭০০ অধিক গার্ড।আমদানিকৃত এই ইস্পাতের কাঁচামাল খালাস হয় বন্দরের মূল জেটি এবং সদরঘাটের পাঁচটি জেটিতে।
বিএসআরএম,আবুল খায়ের, জিপিএস, ও কেএসআরএম এই চারটি বড় শিল্প গ্রুপের কাঁচামাল নিয়মিত এসব জেটিতে খালাস হয়। জেটি থেকে ড্রাম ট্রাক ও লরি করে স্ক্র্যাপগুলো সীতাকুন্ড কারখানায় নেওয়া হয়। এ সময় মূলত ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটে। তাছাড়া, বিভিন্ন সময় ছুরিকাঘাত হয় বিভিন্ন ট্রাক ও লরি চালকরা। বন্দর থেকে ইস্পাত কারখানা পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০টি জায়গায় বিভিন্ন চক্রের দুর্বৃত্তরা স্ক্র্যাপ লুট করে। এরমধ্য সদরঘাট,মাঝিরঘাট,চাম্বালি ঘাটা, রেল বিট, মাদারবাড়ি, কবরস্থান, কদমতলী, দেওয়ানহাট, পানির ট্যাঙ্ক, অলংকার,সীতাকুন্ড বাংলাবাজার, বানুবাজার, ভাটিয়ারী, কদম রসুল ও বারআউলিয়া ইত্যাদি স্থানে। প্রতিনিয়ত এ চক্রগুলো বিভিন্ন স্থানে লুটপাট করে এতে যদি কোন ট্রাক চালক বাধা দেয় তাদের কুপিয়ে আহত করা হয়। গত,৭ সেপ্টেম্বর জিপিএস ইস্পাতের গাড়ির থেকে স্ক্র্যাপ নামানোর জন্য দুর্বৃত্তরা ওই গাড়ির চাকা খুলে ফেলে ।
তাছাড়া, ২০২১ সালে ৩০ শে ডিসেম্বর রাত দুইটার সময় জিপিএস এক নিরাপত্তাকর্মী আকাশ বড়ুয়াকে দুর্বৃত্তরা জখম করেছিল।
এমন,ঘটনা প্রতিনিয়ত সীতাকুন্ড উপজেলায় ঘটে চলেছে এবং বিভিন্ন নিরাপত্তাকর্মী ও বিভিন্ন ট্রাক ও লরি চালকরা এই দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হচ্ছে। এই ঘটনার উদ্বেগ জানিয়ে জিপিএস ইস্পাত লিমিটেড উপদেষ্টা কর্নেল (অব.)শওকত হোসেন বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশের টহল কমে যাওয়াই এর সুযোগ নিতে এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ চক্র উদয় হয়েছে। আমরা সরকারের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন ও সাপ্লাইচেইন স্বাভাবিক রাখার জন্য ইস্পাতের কাঁচামাল পরিবহন আইন-শৃঙ্খলা নজরদার টহল বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি,আরো বলেন বড় দুই টুকরো লোহা ট্রাক থেকে ফেলে দিতে পারলে এক টন স্ক্র্যাপ হয়ে যায়। যার,বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা। এভাবে, কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে ইস্পাত শিল্প মালিকদের। এছাড়া, বিভিন্ন নিরাপত্তাকর্মী ও ট্রাক ও লরি চালকরা বিভিন্নভাবে হামলা শিকার হচ্ছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ