একে আজাদ রাণীশংকৈল প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জমি সংক্রান্ত জেরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হামিদুর রহমান নামের এক ভুক্তভোগী।
বুধবার দুপুরে রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাব সভাকক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হামিদুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার কাদিহাট মৌজার ১০১২ নং খতিয়ানের ৯০৩২ দাগের ৩৬ শতক জমির রেকডিয় মালিক ২জন। সেই হিসেবে প্রতি জনে ১৮ শতক জমি ভাগে পায়। আবার সেই ১৮ শতক জমির মালিক হয়ে দাড়ায় ৬ জন। কিন্তু সেই ৬ জনের ভাগের জমি ১৮ শতক একাই দখলে নেয় কাদিহাট বটতলী এলাকার কানু মহা. এর পুত্র কফিল উদ্দিন। বাকি ওয়ারিশরা দখলের কারণ জানতে চাইলে কফিল আমাদের নানা রকম হুমকি প্রদান করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাকি ওয়ারিশরা রাণীশংকৈল সহকারী জজ আদালত, ঠাকুরগাঁও কোর্টে মোকাদ্দমা নং ৩৫/২৪ এ একটা মামলা দায়ের করি।যা বিচারাধীন। এমতাবস্তায় জমি জবর দখলকারী কফিল সেই জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মানের কাজ করতে গেলে আমরা মৌখিকভাবে বাধা দেই এবং বলি যে এই জমিতে কাজ করা যাবেনা। কারণ এই জমির মালিক আমরাও। এবং মামলা চলমান আছে। এই বলে আমরা চলে আসি। পরের দিন সেই কফিল আমাদের নানা রকম হুমকি সহ হয়রানি করার জন্য ১২ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
হামিদুর রহমান আরও বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে তিনি আমাদেরকে হয়রানি এবং আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা এমনকি জমি থেকে দূরে রাখতে “বাড়ি ভাংচুর সহ টাকা এবং স্বর্ণাল্কার চুরি”র মিথ্যা মামলায় দায়ের করেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ মামলা থেকে আমিসহ বাকি ১১ জন মুক্তি পেতে চাই বলে আকুল আবেদন জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাকি ৫ ওয়ারিশগনরা সহ ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।