উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
আজ ৯ ই অক্টোবর ১৫ ই আশ্বিণ বুধবার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় পাঁচদিন ব্যাপী ২০২৪ শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু। দেবীর আবাহন ঘটস্থাপন অধিবাস, বোধন এবং মহাষষ্ঠী বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ১৩ অক্টোবর ২৬ শে আশ্বিন ১৪৩১ বাংলা রোজ রবিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসব। এদিকে দুর্গাপূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। নওগাঁ জেলা সহ সারা দেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। মণ্ডপের সামনে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণী । ঢাক-ঢোল, কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্দিরও মণ্ডপ। আগামীকাল ( ০৯ অক্টোবর ) বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা দেবীর বোধন। শারদীয় দুর্গোৎসবের শুরুতে দক্ষিণায়নে নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙাতে ভক্তরা বোধন ও বন্দনা পূজা করবেন।বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুর্গাপূজা বারোয়ারি বা কমিউনিটি পূজা হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ষষ্ঠী তিথির সন্ধ্যায় ধূপের ধোঁয়া ঊলুধ্বনিঢাক ঢোল-কাঁসর-মন্দিরের চারদিক কাঁপানো শব্দ আর পুরোহিতদের কণ্ঠে-যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের ভেতর দিয়ে দূর কৈলাস ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে আসেন।পূরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। বসন্তে তিনি এ পূজার আয়োজন করেন। এজন্য দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকা যাত্রার আগে রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। দেবীর শরৎকালের এ পূজাকে ‘অকাল বোধন’ বলা হয়।বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন। অন্যদিকে কৈলাশে (স্বর্গে) বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে।এদিকে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত আছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। কালীতলা আখড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডব,ও নয়াদিগন্ত হিন্দু কল্যাণ সংস্থা সার্বজনীন মন্দির ঢাকা বাস স্ট্যান্ড পার নওগাঁ নওগাঁ সভাপতি গৌড়চন্দ্র সাধারণ সম্পাদক বিমল রায় ও কোষাধক্ষ্য মানিক চন্দ্র রায়। মহাদেবপুর রঘুর নাথ জিউ মন্দির ঘোষপাড়া মন্দির ধুনজইল সার্বজন মন্দির, মধুপুর সর্বজনীন মন্দির সর্বজনীন নলোবল মন্দির বাগধানা সরজনের মন্দির খোদ্দ নারায়ণপুর পালপাড়া সর্বজনীন মন্দির খোদ্দ নারায়নপুর ঋষিপাড়া পাড়া সার্বজনীন মন্দির লক্ষ্মীপুর সর্বজনীন মন্দির সরস্বতীপুর বাজার সর্বজনীন মন্দির চকগরি চালহাটি সর্বজন মন্দির বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গোৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়সহ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিককে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নওগাঁ #