মধু স্টাফ রিপোর্ট
কিশোরগঞ্জ নীলফামারী
ব্লু স্টার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডে ঋণ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জাবিন্দার ও সাধারণ জনগণ কঠিন বিপদের মুখে পড়ছে। ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা নেওয়ার ফলে অনেক মানুষ আর্থিকভাবে দারুণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। এই ব্ল্যাঙ্ক চেকের অপব্যবহার এবং ঋণের কঠোর শর্তাবলীর কারণে অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঋণ নেওয়ার সময় সমবায়টি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে একাধিক ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা নেয়, যা ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে সমবায় কর্তৃপক্ষ পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিয়ে থাকে। এতে ঋণগ্রহীতারা আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা জাবিন্দার হিসেবে কাজ করছেন তাদেরও চেকের কারণে আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে, কেননা ঋণগ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তখন চেকটি মূলত জামিনদারের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, এই ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি ঋণগ্রহীতাদের জন্য একধরনের ফাঁদ। তারা জানতেন না যে এই চেক পরবর্তীতে এত বড় বিপদ ডেকে আনবে। ঋণগ্রহীতারা যখন ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হন, তখন সমবায়টি চেকের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়, যা ঋণগ্রহীতাদের জন্য এক বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণ জনগণ এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত অমানবিক এবং বিপজ্জনক। সমবায়টির ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্তাবলী পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন, বিশেষ করে ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা নেওয়ার মতো বিতর্কিত নিয়ম তুলে দেওয়ার জন্য দাবি উঠছে। জামিনদারদেরও এই ঋণ প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করা হলেও তাদের যথেষ্ট সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে না, যা সাধারণ মানুষকে আর্থিক ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত এ সমবায়ের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি করা এবং জনগণের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ব্ল্যাঙ্ক চেক জমা নেওয়ার এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে, ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ ও ন্যায্য নীতিমালা গ্রহণ করা জরুরি।