এবি নিউজ ডেস্ক:
বৈরুতের দক্ষিণ দিকের এলাকাগুলোতে শনিবার থেকে রোববার পর্যন্ত টানা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত ভয়াবহ ছিল ওই হামলা। প্রতিটি বোমা নিক্ষেপের পর রাতে খানিক পরপরই কয়েক মিনিটের জন্য বৈরুতের আকাশ লাল হয়ে যাচ্ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কয়েক দিন আগে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাগোষ্ঠী হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর বৈরুতে এই দীর্ঘস্থায়ী হামলা চালালো ইসরাইল। ধারণা করা হচ্ছে হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশিম সাফিউদ্দিন নিহত হয়েছেন। কেননা গত শুক্রবার থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র।
শনিবার সূত্রটি জানিয়েছে, বৈরুতের অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ক্রমাগত ইসরাইলি বিমান হামলার পর থেকে সম্ভাব্য উত্তরসূরির সাথে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কমান্ড সদর দপ্তরে হামলা চালিয়ে নাসরুল্লাহকে নিহত করেছে। এরপর হিজবুল্লাহও নাসরুল্লাহর নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে। নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকেই তার আপন চাচাতো ভাই সংগঠনটির সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে আলোচিত হয়ে আসছে। এরপর থেকেই তাকে টার্গেট করে হামলার দাবি করেছে ইসরাইল।
লেবাননের প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে বৈরুতের দাহিয়েহ নামে পরিচিত আবাসিক এলাকায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। টানা হামলার কারণে সেখানে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তারা হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তেল আবিবের এখন টার্গেট হচ্ছে নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই সাফিউদ্দিনকে হত্যা করা। তবে এখনও হিজবুল্লাহ সাফিউদ্দিনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি সাফিউদ্দিনকে হারানো ইরানের সহায়তাপুষ্ট হিজবুল্লাহর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হবে। তেহরানও এতে চাপে পড়তে পারে। লেবাননে হামলার পরিধি দ্রুত বাড়াচ্ছে ইসরাইল। শনিবার প্রথমবারের মতো দেশটির উত্তরাঞ্চলের শহর ত্রিপোলিতেও হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। এ শহরে সুন্নি মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের সময়ও এ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল।