রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

ভাঙ্গনে নিঃস্ব কুড়িগ্রামের নদীপাড়ের মানুষ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রামে অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন কিছুটা কমলেও ধরলা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষ। ইতিমধ্যে জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এখনও অনেক পরিবার। এছাড়াও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের খুদিরকুটি বাজার এলাকার একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ধরলা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে ওই এলাকার একটি মাত্র আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ও।

অপর দিকে ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিবে সরকার এমনটা প্রত্যাশা তাদের। অপর দিকে ভাঙনের শিকার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর দিন পার করছে ভিটেমাটি হারা মানুষ।

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, দুই নদী ভাঙনে আমাদের ইউনিয়নটি শেষ। আমরা ত্রাণ চাই না, নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান চাই। ইতিমধ্যে তো কমিউনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নদীতে চলে গেছে। এই ইউনিয়নের একমাত্র আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়টিও ভাঙনের মুখে রয়েছে। ধরলার অব্যাহত ভাঙনে দিশেহারা এখানকার মানুষ।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে অব্যাহত রয়েছে ত্রাণ তৎপরতা। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর তালিকা পেয়েছি পদক্ষেপ নেওয়া হবে পুর্নবাসনের।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ধরলা নদীর ভাঙন ঠেকাতে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপাড়ি পাড়া এলাকায় আমরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছি। আশা করছি সেখানকার আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়টি রক্ষা করতে পারবো। এছাড়াও জেলার আরও ৪-৫টি জায়গায় আমাদের কাজ চলমান রয়েছে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ