মোঃ মাসুম রানা,
বাঘারপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি(যশোর)
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বাররা গ্রামের সাবেক সেনাসদস্য মো.আফছার আলী (৯০) মোল্লার বাড়ি গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার দিনগত রাত ২টায় এক দুর্ধর্ষ্য ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে কথা আহত আফছার আলী ও তাহার স্ত্রী সংগে। যেদিন ডাকাতি হয় ঐদিন ভোর ৫টায় আর এক সাবেক সেনাসদস্য মো.ইকবাল হাজির ব্যক্তিগত ৪ চাকার গাড়িতে বহন করে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে তাকে আফছার আলীকে বাড়িতে আনা হয় এবং আহত আফছার মিয়ার বড় ছেলে সাবেক সেনাসদস্য সার্জেন্ট মো.জাহাতাব বাড়িতে এসে বাবার করুন দুর্দশা কোনোভাবেই মেনেনিতে পারেনি তাই তিনি বাদী হয়ে স্বশরীরে ২৬ সেপ্টেম্বর বাঘারপাড়া থানায় গিয়ে আইনগতভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ অভিযোগে ডাকাতদের ২জনের নাম উল্লেখ করে এবং অঙ্গাত আরও ২/৩ জন আছে সন্দেহ করে একটি জোরাল অভিযোগ দায়ের করে।ডাকাতি কালে আহত দুজানাকে গরুর দড়ি দিয়ে হাত ও পা বেধে বেধঢ়ক মারপিঠ করে মহিলার কান থেকে দুল ও নাখের ফুল ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের গচ্ছিত ১৫ হাজার টাকাসহ ৩টা মোবাই নিয়ে যায়।। এসময় ডাকাতদের মারপিঠের আঘাত সয্য করতে না পেরে তাদের হাতপা জোড়িয়ে ধরতে যায় তখন দুর্ববৃত্তরা আহত মিলিটারি আফছার মোল্লাকে হাতপা বাধা অবস্থায় খাটের উপর থেকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তাদের হাতে থাকা চেড়ী কাঠ দিয়ে বেধঢ়ক পিঠাতে থাকে। এযন্ত্রনা সয্য করতে না পেরে তাদের ( ডাকতদের) পা জড়িয়ে ধরে। এতে তারা আরও উত্তেজিত হয় এবং ২ লাখ টাকা দাবি করে কিন্তু মিলিটারি বলে আমিত বেকার আমার কাছে যা ছিল সবই দিয়ে দিছি আমাকে তোমরা আর মেরো না। তার আকুতি কে শোনে। কোন কায়দায় মিলিটারির স্ত্রী হাতপায়ের রশি খুলে দৌড়ে পাশের বাড়ি খবর দিলে প্রতিবেশিরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথা হয় সার্জেন্ট অবঃ মো. জাহাতব আলীর সাথে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন চিহ্নিত ২ ডাকাত সদস্য প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়িতে এসে হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে না নিলে তোদের কুপিয়ে মারব। এমতবস্থায় বাদীপক্ষ তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ঝু্কির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই আশু আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন বাদীপক্ষ।