আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
মালিক পক্ষের দ্বন্দ্ব এর সাথে সৃষ্টি হওয়া সিন্ডিকেটের ফলে ভারত থেকে আমদানীকৃত প্রায় ১৯৭ মে.টন কয়লা খালাসের অপেক্ষায়। চিলমারীতে কয়লা নিয়ে প্রায় ৩ মাস আগে বাল্কহেডটি পৌঁছালেও মালিক ও বাড়ি ভাড়াটিয়া মালিকের দ্বন্দ্বের কারণে ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও চিলমারী বন্দরে কয়লা খালাস করতে পাচ্ছেনা আমদানী কারত প্রতিষ্ঠানটি ফলে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। এদিকে উক্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে পণ্যবাহী বাল্কহেড সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান। ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেনা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, আর.কে ড্রেজিং এন্ড কনস্ট্রাকশন একটি প্রতিষ্ঠান এমভি নাজমা নাসিমা রেজি:-০১-৪৩৩০) নামে একটি বাল্কহেড ভাড়ার মাধ্যমে ১৯৭ মে. টন কয়লা চলতি বছরের ৫জুন অমদানী করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী বন্দর এলাকায় নিয়ে আসে। পরে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এ.আই.টিসহ সকল পাওনাদি পরিশোধ করে। এবং সকল সরকারী নিয়ম শেষে চিলমারীর ফকিরেরহাট ঘাটে কয়লা খালাস করতে গেলে বাল্কহেড মালিক পক্ষ বাঁধার সৃষ্টি করে। বাঁধা দেয়ার কারণে সৃষ্টি হয় সিন্ডিকেট ফলে প্রায় ৩ মাস পেড়িয়ে গেলেও খালাসের অপেক্ষায় ১৯৭ মে.টন কয়লা ফলে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানটি পড়েছে বিপাকে। আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা এপ্রতিনিধিকে জানান, সরকারী সকল নিয়ম মেনে ভারত থেকে ১৯৭ মে.টন কয়লা আমদানী করে চিলমারীতে খালাস করার সময় বাল্কহেড মালিক ও তাদের লোকজন কয়লা খালাসের বাঁধা দেয় এবং বাল্কহেডটি কাঁচকোল এলাকায় নিয়ে যায়, পরবর্তিত্বে আমাদের ম্যানেজার নুর হোসেনকে বেঁধে কয়লাসহ বাল্কহেডটি নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ্ববর্তী বজড়াদিয়ার খাতা নামক চরে আটকে যায় এবং এখন পর্যন্ত সেখানে আছে।
তিনি আরও জানান, মালিক পক্ষ ও ভাড়াটিয়া মালিক পক্ষের লেনদেন বা দ্বন্দ্বে কারনে আমরা বিপাকে পড়েছি এছাড়াও জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রাশাসনকে জানিয়ে কোন ফল পাচ্ছিনা। আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নুর হোসেন জানান, আমাকে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার পর নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও আমাকে উদ্ধার করেনি পড়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় নৌকা যোগে চিলমারী রমনা ঘাটে পৌঁছি। মালিক পক্ষ (ভাড়াটিয়া) মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, পাবনা এলাকার আনোয়ার নামে একজন ব্যাক্তিকে আমি বাল্কহেডটি বডি ভাড়া দেই আর কয়লা কে আমদানী করেছে সেটি আমি জানিনা, আমি আনোয়ার সাহেবের কাছে টাকা পাই তিনি তা পরিশোধ না করায় আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগীয়তায় তা আটক করা হয়েছে এবং সেটি নৌ-থানার অধিনে রয়েছে। কথা হলে নৌ-থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এস আই বলেন, এখানে দু’পক্ষের লেনদেনের বিষয় রয়েছে আইসি স্যার ছুটিতে আছেন আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে কোন সুরাহা না পেয়ে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা বৃহস্পতিবার রাতে প্রেস ক্লাব চিলমারী কার্যালয়ে নৌ-পথে আমদানীকৃত কয়লা চিলমারী নদী বন্দরে খালসে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।