বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন

সীতাকুণ্ডের কুমিরায় ইভটিজিং বন্ধের প্রতিবাদে কুমিরা ছাত্র সমাজের অবস্থান কর্মসূচি

মো: রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মো: রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামর সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন এলাকায় সকল স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়েদের কে ইভটিজিং বন্ধের প্রতিবাদে একাধারে কাজ করে যাচ্ছে কুমিরা ছাত্র সমাজ।

ইভটিজিং প্রতিরোধকল্পে আইন পাস হয়েছে অনেক আগেই। আইনটির প্রয়োগ কতজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে, সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য এই মুহূর্তে ছাত্র সমাজে হাতে নেই। কুমিরা ছাত্র সমাজ চাই, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং এ জড়িতদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি পরিবারে সমাজে রাষ্ট্রে কোথাও নারী উত্ত্যক্তকারী ও নির্যাতনকারীদের প্রশ্রয় থাকা উচিত নয়।

সামাজিক ব্যাধিগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে ইভটিজিং। সরকার ইভটিজিং নামের নারী নিগ্রহ প্রতিরোধে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে ভয়াবহ এই সামাজিক ব্যাধির প্রকোপ দমানো যাচ্ছে না; ইভটিজারদের তথা বখাটে দুর্বৃত্তদের রোখা যাচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইন-আদালত থানা-পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরায় এই সব ইভটিজিং কারীদের বিরুদ্ধে কুমিরা ছাত্র সমাজের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কুমিরা ছাত্র সমাজ বলেন, বর্তমানে সামাজিক শৃঙ্খলার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইভটিজিং। বখাটেরা এই বেপরোয়া সাহস কোথা থেকে পায়? এ কাণ্ডটি ঘটেছে প্রকাশ্যে। এই বখাটেরা সমাজের কারো প্রতিরোধের মুখে পড়ল না কেন? এ ঘটনা কি সমাজের কাউকেই তাড়িত করেনি। সবাই কি নির্লিপ্ত? নাকি বখাটেরা এতই ক্ষমতাবান যে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কেউ সাহস পায়নি। ইভটিজিং প্রতিরোধকল্পে আইন পাস হয়েছে অনেক আগেই। আইনটির প্রয়োগ কতজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে, সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য এই মুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। এ ছাড়া নারীর সুরক্ষার জন্য শক্ত আইন রয়েছে। সমস্যা হলো, আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হয় না। আবার অনেকে এসব আইনের সুরক্ষা নিতে এগিয়ে আসেন না। এর কারণ বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগিতা, উপযুক্ত আইনি সহায়তাদানের নিশ্চয়তা না পাওয়া ইত্যাদি। আমরা মনে করি, বখাটেদের উৎপাত বন্ধে যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং যথাযথ পুলিশি তৎপরতার বিকল্প নেই। অপরাধী যেই হোক, যে পরিচয়ধারীরই হোক বিধিমতো তার বিচার নিশ্চিত হতে হবে। জড়িতদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি পরিবারে সমাজে রাষ্ট্রে কোথাও নারী উত্ত্যক্তকারী ও নির্যাতনকারীদের প্রশ্রয় থাকা উচিত নয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিরা ছাত্র সমাজের মো.সাজ্জাদ হোসেন,মো. জাহেদ হাসান,আহমেদ নাজিম,মো.তৌহিদুর ইসলাম,
S.Hনোমান,মো:সাব্বির, মোবাশির,মো.ইমতিয়াজ,মো.বেলাল হোসেন,ছোটন,মো.ইমরান হোসেনসহ আরো প্রমূখ

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ