সুরুজ্জামান রাসেল
গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের
টঙ্গীর চেরাগআলীতে ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে ফ্লাইওভার ব্রীজের নিজ থেকে মারিয়া আক্তার মুমু (১৯)নামের এক তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ।
মারিয়াকে ফ্লাই ওভার থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে খুন করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের মা জানান, ৫ বছর আগে টঙ্গীর চেরাগআলীর মোর্শেদ অনি নামে এক ছেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পরিচয় হয়। প্রথমে বন্ধুত্ব পরে তাদের মাধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মারিয়াদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকায় মোর্শেদ অনি বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে মারিয়ার কাছে থেকে একাধিকবার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এর মধ্যে মারিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মারিয়াকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে চলে আসতে বলে মোর্শেদ অনি। তারা আলাদা বাসা নিয়ে একসাথে থাকার আশ্বাস দেয় মারিয়াকে।
মোর্শেদ অনির কথামত শুক্রবার ভোরে মারিয়া তার বাসায় থাকা তার মায়ের এবং নিজের ব্যবহৃত প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৩/৪ লাখ টাকা নিয়ে চলে আসে, মারিয়া সাথে থাকা নগত টাকা ও স্বর্ণ অলংকার অনিক মোর্শেদ অনির হাতে তুলে দেয় মারিয়া। তারপর তাদের মধ্যে বিয়ে করবে এসব বিষয়ে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে মারিয়া ও মোর্শেদ অনির মাঝে ঝগড়া লেগে যায় এবং মারিয়া জানতে পারে মোর্শেদ অনির বউ আছে সে বিয়ে করতে পারবে না ।
মারিয়াকে তখন মোর্শেদ অনির সাথে থাকা আরো কয়েজ জন বন্ধু মিলে জিম্মি করে এবং মেরে ফেলার ভয়ভিতি দেখিয়ে মিথ্যা ভিডিও শিকারোক্তি নেয় এবং সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে মারিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টঙ্গীর চেরাগ আলী ফ্লাই ওভার ব্রীজের উপর থেকে মারিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় মোর্শেদ অনি ও তার কয়েক জন বন্ধুরা ।
গত শুক্রবার সকালে মারিয়া মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় পথচারীরা পুলিশ মরদেহ টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দি ন আহাম্মেদ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
মোর্শেদ অনি বোর্ড বাজার, জাজর হাজীর পুকুর এলাকার নোয়াখালী পট্টিতে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন, তার পিতার নাম খলিল হাজী
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মারিয়া মুমুর মা বাকরুদ্ধ, কোন কথা বলতে পারছে না। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পরিাবারে।
টঙ্গীর পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ জানায়, প্রতারক মোর্শেদ অনিকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
মোর্শেদ অনি কে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানদাতাকে পুরুষ্কৃত করবে বলে জানিয়েছে মারিয়া মুমুর পরিবার।