শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে আহত

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রাম সদরের কবিরাজ পাড়ায় কতিপয় বখাটেদের হাতে তসলিম উদ্দিন (৩৫) নামের দুই কন্যার জনক গুরুতর জখম হয়েছেন। নিজের মেয়েসহ অন্য একটি মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বখাটেদের হামলার শিকার হন তিনি।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ২ কন্যা সন্তানকে নিয়ে অন্যের বাসায় ভাড়া থাকছেন তসলিম মিয়া। তার বাসার সামনে একদল বখাটে কিশোর নিয়মিত ফ্রি-ফায়ার গেমসের আড্ডা বসিয়ে আসর জমায় এবং অকথ্য ভাষায় নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করে যা আশে-পাশের বাসাগুলোর মধ্যে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। এলাকার বিশাল জায়গা থাকতেও সেই ভাড়া বাসায় তসলিম দুই মেয়েসহ আরও এক কিশোরী মেয়ে বসবাস করায় বখাটে কিশোর দল তসলিমের বাসার সামনেই বসাতো। মাঝে মধ্যেই তসলিমের বড় মেয়েসহ বাড়ির ভাড়াটিয়া মেয়েকে বখাটেরা উত্যক্ত করতো। তসলিম উদ্দিন একদিন এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মধ্যে মাহিন (২৪) , পিতা: নাল্টু (৪০) বলে ‘আমরা এই এলাকার ছেলে পেলে, আপনারা এখানকার ভাড়াটিয়া, আমরা এখানে যা খুশি করব, আপনার ভালো না লাগলে চলে যান।’ এরপরেও কিশোর দল তাদের নিয়মিত তসলিমের বাড়ির সামনে আড্ডা চলমান রাখে এবং তাদের বাসায় নিয়মিত উঁকি-ঝুকি দিতে থাকে।

শুক্রবার রাত আনুমানিক ৭:৩০ টায় মাহিন (২৪), তার মা মুর্শিদা (৩৫), এবং বাবা মো: নাল্টু (৪০) ও মাহিনের জ্যাঠাতো ভাই ভুল্লুসহ (২৯) পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তসলিমকে মারার জন্য শরীরের পেছনে রড ও পাইপ লুকিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এমতাবস্থায় এই অতর্কিত হামলায় তসলিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাহিনের মা তসলিমের গলা ও বুক চেপে ধরে অন্য দিকে মাহিন ও ভুল্লু তসলিমকে এলোপাথাড়ি পাইপ আর রড দিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তসলিমের স্ত্রী হাসি (৩১) তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাকেও বেধরক পেটানো হয়। তাদের চিৎকার -চেঁচামেচিতে পাড়া প্রতিবেশী জড়ো হতে লাগলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তসলিম নিকটস্থ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত মাহিন ও ভুল্লুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায় নি।

কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাছুদুর রহমান জানান, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ