সুমাইয়া মোস্তাকিম জেলা প্রতিনিধির :
ফেনীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাইদুল হক রিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম এসব তথ্য জানান।
র্যাব-৭ জানায়, সম্প্রতি দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র জনতা ৪ আগস্ট সকাল ১০টায় ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে ফেনীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ছাত্র জনতার সাথে ভিকটিম ছাইদুল ইসলাম (২০) অংশ নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে।
র্যাব-৭ আরও জানায়, ভিকটিম ছাইদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ দিকে চলে যান এবং একপর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য স্টার লাইন কাউন্টার সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ফ্লাইওভারের উপরে উঠে শুয়ে পড়েন। আসামীরা ফ্লাইওভারের উপরে উঠে ভিকটিম ছাইদুল ইসলাম এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৪ থেকে ১৬টি গুলি করে। সেসময় ভিকটিম লুটিয়ে পড়লে আসামীরা আবারো তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি-সোঠা, লোহার রড, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।
র্যাব জানায়, পরে ভিকটিমের পিতা এবং ছাত্র-জনতা তাকে উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ১০ নং ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাইদুল হক প্রকাশ রিফাত চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার সিডিএ এভিনিউ এলাকায় অবস্থান করছেন।
এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি টিম ১৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ভোর পৌনে ৫টায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিফাতকে (২৮) গ্রেপ্তার করে। রিফাত ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছালেহ আহম্মেদের ছেলে।
আইনগত ব্যবস্থা নিতে রিফাতকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।