কয়রা খুলনা প্রতিনিধ:মোস্তফা রেজওয়ানুল করিম :

সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ কয়রায় সপ্তাহ জুড়ে প্রবাল বৃষ্টিতাতে বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। রুপা আমনের খেত ও চিংড়ি ঘের গুলোতে এখন পানিতে থৈ থৈ করছে। সদ্য রোপন করা ধান পাতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এখানকার শতশত কৃষক ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমনের চাষাবাদ করছেন কৃষক । তিন সহস্রাধিক চিংড়ি চাষী ছোট বড় বাগদার ঘের তৈরি করে চিংড়ি চাষ করছেন । কয়রা সদর উত্তর বেদকাশি মহারাজপুর ২০ টি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার হাজার হাজার জমির আমলের ক্ষেত গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছে । বিশেষ করে সদ্য রোপন করা ১ নম্বর কয়রা পায়রা তোলারাআইট মাঝেরহাট তিন নম্বর কয়রা পূর্ব ও পশ্চিম মহারাজপুর বিল ও মহেশচরপুর গেলাবাড়ি বিলের আমনের ক্ষেতগুলো পানির নিচে তলিয়ে একাকার হয়ে গিয়েছে । মাঝেরহাট গ্রামের কৃষক দিলীপ মন্ডল জানিয়েছে পানি নিষ্কাশনের তেমন সুযোগ না থাকায় ধান ক্ষেত বৃষ্টিতে তলিয়েছে।দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে ধান পাতা মরে যাওয়ার সংখ্যা করছেন তিনি । পূর্ব মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আশরাফ আলী বলেন বৃহৎ এ পানি নিষ্কাশন হয় সুতির সুইচ গেট দিয়ে কিন্তু ধীরগতিতে পানি নিষ্কাশন হওয়ায় ধান পাতার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকার হাজার হাজার কৃষক । ৬ নম্বর কয়রার চিংড়ি চাষি আব্দুর রশিদ মল্লিক জানান কয়েকদিন ধরে এই একটানা বৃষ্টিতে এলাকার দুই শতাধিক চিংড়ি ঘেরএকা কার হয়ে গেছে ঘেরগুলো পানির নিচে তলিয়ে থই থই করছে । এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন একটানা বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে প্রাথমিকভাবে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান ।