
স্টাফ রিপোর্টার গোলাম জিলানী দিরাই :দিরাই (সুনামগঞ্জ)।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল অভিযানে ১৪ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে দিরাই বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, অদ্য রাত ০১:৩০ ঘটিকায় নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর মেজর আসিফ রানা অনীক পিএসসি (৫৭ ইবি)–এর নেতৃত্বে একটি টহল দল দিরাই বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘিরে ফেলে। টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগমুহূর্তে চোরাকারবারীরা একটি বিদেশি মদের চালান নিয়ে অবস্থান করছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
টহল দলের উপস্থিতি আঁচ করতে পারায় সন্দেহভাজনরা দ্রুত পালিয়ে যায় এবং পালানোর সময় তারা কয়েকটি মদের বোতল ফেলে রেখে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে নিম্নোক্ত বোতলগুলো উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ২ বোতল এসি ব্ল্যাক,১ বোতল ব্লু হুইস্কি,১১ বোতল অফিসার্স চয়েস
মোট: ১৪ বোতল বিদেশি মদ
অভিযান শেষে ০৩:৫০ ঘটিকায় উদ্ধারকৃত মদের বোতলগুলো দিরাই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই মাসুদুল হক–এর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এসময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনা, সময় এবং স্থান সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত মদের চালানটি কোন চক্রের, কীভাবে এসেছে এবং কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত—তা শনাক্তে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তঘেঁষা এলাকা থেকে মদ এনে স্থানীয় বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যেই দিরাইয়ে আনা হয়েছিল চালানটি।
স্থানীয়দের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে দিরাই উপজেলায় মাদককারবারীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। তারা মনে করেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিয়মিত অভিযান মাদক প্রবেশ ও ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে দিরাই থানা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, “মদ উদ্ধার নিয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটির সঙ্গে যেসব ব্যক্তি বা চক্র জড়িত রয়েছে, তাদের শনাক্তে আমরা গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় সূত্র কাজে লাগাচ্ছি।
অপরদিকে প্রশাসন জানিয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত টহল অব্যাহত থাকবে।