নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি একটি সূত্র গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে টানা অষ্টমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শাজাহান খান বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
একই আসন থেকে পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শাজাহান খান ২০০৯ সাল থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।
শাজাহান খান ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম অ্যাডভোকেট মৌলভী আচমত আলী খান এবং মা তজন নেসা বেগম। তার বাবার আচমত ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং জাতীয় সংসদের সদস্য।
বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত শাজাহান খান: শাজাহান খান বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য ও অবস্থানের কারণে সমালোচনার মুখমুখি হয়েছেন। যদিও বিতর্কের মুখে পরে তা প্রত্যাহার করেন। এছাড়া ২০১৬ সালে পরিবহন খাতে অনিয়মের জন্য তাকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ দাবি করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর মন্ত্রীর করা মন্তব্য সমালোচিত হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে এবং সড়কে নৈরাজ্য দূরীকরণের জন্য নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুরু করে।
এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন সময় তার দোষী চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে নমনীয় থাকার অভিযোগেও তাকে অনেকে অভিযুক্ত করে থাকেন।
শাজাহান খানের সহধর্মিণী সৈয়দা রোকেয়া বেগম একজন কলেজ প্রভাষক। তার জ্যেষ্ঠপুত্র, আসিব খান আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং তার একমাত্র মেয়ে ঐশী খান টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।