
মিয়াদ হাসান
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা-র উদ্যোগে আজ জুম্মার নামাজের পর “সম্পদ রক্ষায় ছাত্র ঐক্য” ব্যানারে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে এই বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষার্থীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে “সম্পদ রক্ষা কর, ঐতিহ্য বাঁচাও”, “আমাদের ভূমি ফেরত দাও”, “আলিয়ার সম্পদ আমাদের গর্ব” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দিতে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে।
আয়োজকরা জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া দেশের ইসলামি শিক্ষার অগ্রভাগে থেকেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বহু মূল্যবান ভূমি, ভবন ও স্থাবর সম্পত্তি অব্যবস্থাপনা, দখল ও অবহেলার কারণে হারিয়ে গেছে।
তাদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বেশ কিছু জমি এখন বেসরকারি দখলে রয়েছে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দ বলেন, “মাদ্রাসা-ই-আলিয়া শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি ইসলামি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জাতীয় ইতিহাসের এক জীবন্ত প্রতীক। এই প্রতিষ্ঠানের সম্পদ রক্ষা মানে আমাদের শিক্ষার ঐতিহ্য সংরক্ষণ।”
তারা আরও বলেন, “যেসব সম্পদ বর্তমানে ব্যবহারযোগ্য নয় বা দখল হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার করে ছাত্রদের শিক্ষা, আবাসন ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে কাজে লাগানো হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ শিক্ষার পরিবেশ পাবে।”
বক্তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি, কিন্তু যদি আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তবে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হবো।”
এই মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যা আলিয়ার মূল ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে আশেপাশের এলাকায় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
ছাত্র ঐক্যের সদস্যরা জানান, এই আন্দোলন কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং আলিয়ার ঐতিহ্য ও সম্পদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য।
শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করা হয়, যা শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।
তাদের প্রত্যাশা, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে যাতে দখল হয়ে থাকা ভূমি ও সম্পদ পুনরুদ্ধার করে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া আবারও তার পুরনো গৌরব ফিরে পায়।