মোঃ জজ মিয়া
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। কটিয়াদী সরকারি কলেজ খেলার মাঠ পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।
কটিয়াদী পৌর প্রশাসক লাবনী আক্তার তারানা সভাপতিত্বে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, মাঈদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো, তরিকুল ইসলাম,উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন খাঁন দিলীপ,মডেল থানার ওসি তদন্ত মো, হাবিবুল্লা খান,পৌর বিএনপির সভাপতি আশরাফুল হক দাদন,সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সজল,উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান,যুগ্মসাধারণ সম্পাদ মাহফুজুর রহমান মিঠু,যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ফুলু,উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাবুদ আলম মাসুদ,সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম সেতু,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইলিয়াস আলী, পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ও বাজার বণিক সমিত সম্পাদক জিল্লুর রহমান,উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মুরসালিন ধারা শিখু,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জজ মিয়া,সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোফাসসেল সরকারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,
প্রতিমা বিসর্জনের সময় বিজয়া দশমীর ঘাটে আনন্দঘন আমেজে মুখর ছিল পরিবেশ। সকাল থেকেই ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর শঙ্খধ্বনিতে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের অন্তরের কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল বার্তা। এসব নেতিবাচক প্রবৃত্তি ত্যাগ করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠাই এই উৎসবের উদ্দেশ্য।
এর আগে বিহিত পূজা ও সিঁদুর খেলার মাধ্যমে ভক্তরা আবেগঘন পরিবেশে দেবীকে বিদায় জানান। নারীরা দেবীর চরণে সিঁদুর নিবেদন করেন এবং একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে পরিবারের মঙ্গল ও সমাজকল্যাণ কামনা করেন।
পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কটিয়াদী উপজেলায় মোট ৪০টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় ১৬টি ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৪টি পূজা।
কটিয়াদী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভাপতি বাবু দিলীপ কুমার সাহা বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে পেরেছি। ৪০টি পূজা মণ্ডপে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এ উৎসব এখন সবার। এবারের আয়োজনও তার প্রমাণ।
শাস্ত্রমতে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আগমন করেছেন এবং দোলায় চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন। হাতির পিঠে আগমনকে অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এতে পৃথিবী শস্য-শ্যামলা ও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।