নাজমুল হাসান সিনিয়র রিপোর্টার যশোর:
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস যেন অনিয়ম দুর্নীতির আতুর ঘর, নেই কোন ব্যাগেজ সুবিধা, সারা বাংলাদেশ স্বাধীন হলো,কিন্তু বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস পরাধীন থেকেই গেল, কাস্টম নিয়ন্ত্রণ জাহাঙ্গীর আলম সুপার দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে, তৎকালীন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুকুল হাজির নেতৃত্বে, এবং সহযোগিতায় ছিলেন যুবলীগের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ, উপজেলার চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, মূলত এদের কথামত চলে কাস্টম এর নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘদিন যাবত,
কোন ব্যক্তি ইন্ডিয়াতে ঘুরতে যাওয়ার পর যদি কোন মালামাল ক্রয় করে নিয়ে আসে, সে সমস্ত মালামাল গুলো তাদের থেকে আটক করা হয় এবং বলা হয় যে, আপনারা ট্যাক্স করে মালগুলো নিয়ে নিতে পারবেন, কিন্তু এযাবৎকাল প্রায়ই ৫০০ কোটী টাকার মত মালামাল কাস্টমসে ডিএম করে রেখে দিলেও একটি টাকার মাল ও কোন পাসপোর্ট যাত্রী নিতে পারেননি ট্যাক্স করে, কারণ ট্যাক্স করে নিতে গেলে দেখা যাচ্ছে,কাস্টম সুপার জাহাঙ্গীরের ব্যক্তিগত ক্ষমতা বলে দীর্ঘদিন যাবত স্পট ট্যাক্স বন্ধ করে ৩০০% জরিপানা করে রাখছে ডিএম করা মালের উপর।
ইন্ডিয়া থেকে আগত যাত্রীদের ক্রয় করা শাড়ি থ্রি পিস কসমেটিক্স চকলেট বিস্কিট কম্বল এবং বিভিন্ন জাতীয় পণ্য, ট্যাক্স করে নিতে হলে দেখা যাচ্ছে ৩০০% ডাবল দাম দিয়ে সেটা কিনতে হবে যা কোনোভাবেই একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়, আসলে স্বাধীনতার নামে এই পরাধীনতা চলবে আর কতদিন, সেই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে, প্রতিটা বাংলাদেশের মানুষের একটাই প্রশ্ন কেন এই অনিয়ম দুর্নীতি চলছে এখনো পর্যন্ত,
বিভিন্ন যাত্রী সূত্রে একটি কথা জানতে পারি যে, যদি বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসে স্পট টেক্সের সুবিধা থাকতো তাহলে যাত্রী ভোগান্তি কিছুটা হলেও কম হবে।
বাংলাদেশের জনগণের মালামাল আত্মসাৎ করে এই মালামাল গুলো কিভাবে মানুষের কাছে ফেরত দেয়া হয়, এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করলে জাহাঙ্গীর সুপারের কাছ থেকে কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।