
আনিসুর রহমান (আনাস), চান্দিনা প্রতিনিধি।
চান্দিনা উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবনে নিত্যদিনের ভোগান্তির এক হয়ে দাঁড়িয়েছে মাধাইয়া টু নবাবপুর সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি এখন যেন এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করা যাত্রী, শ্রমজীবী মানুষ ও যানবাহন চালকদের জন্য এটি এখন ভীতিকর এক অভিজ্ঞতা।
আজ বিকাল ৫টায় রানীচড়া এলাকায় হাফিজিয়া ইসলামিয়া জয়নুল উলুম মাদ্রাসার সামনে একটি মালবাহী ট্রাক সড়কের গভীর গর্তে আটকে যায়। এতে পুরো সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকায় বাকি যানবাহনগুলোও আটকে পড়ে দীর্ঘ যানজটে। দিন যত গড়াচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে এমন দুর্ঘটনার সংখ্যা।
এই সড়কটির দুই পাশে রয়েছে বহু শিল্প-কারখানা। প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, হাজীগঞ্জ, রামগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো মানুষ সময় বাঁচানোর জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। এমনকি বিদেশগামী যাত্রীদের কাছেও এই পথটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। মাঝে মাঝে টেন্ডার হলেও রাস্তাটি যথাযথভাবে সংস্কার করা হয় না। অভিযোগ রয়েছে, সংস্কারের সময় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়, ঢালাইয়ের সময় মাটি ও পচা ইট মিশিয়ে কাজ করা হয়। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই আবার গর্ত সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনা বাড়ে।
দিন দিন এ সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। যানবাহন উল্টে যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিকবার স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও মেলেনি কার্যকর পদক্ষেপ।
চান্দিনার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের একটাই দাবি—এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির জরুরি ভিত্তিতে টেকসই ও মানসম্মত সংস্কার। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের বক্তব্য, দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু না হলে জনগণের দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
বর্তমানে ঢাকা গামী অনির্বাণ পরিবহনের বাসও সড়কের ভয়াবহ অবস্থার কারণে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
সকল অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্তভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উন্নয়ন সম্পন্ন করে এটিকে মহাসড়কে রূপান্তর করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।