বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডে ইউপি কার্যালয় সচল করতে বিএনপির মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান

মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা জনগণকে তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত করে চরম ভোগান্তিতে ফেলার প্রতিবাদে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে বিএনপি এবং সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় চত্বরে এই মানববন্ধন করে ইউএনও মো. ফখরুল ইসলামকে লিখিত একটি স্মারকলিপি পেশ করেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।

মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো সালাউদ্দিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো মোরছালিন,উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য জহুরুল আলম জহুর, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মো মহিউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন দুলাল, সালেহ আহমদ সলু,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনছুর,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল নাহার নেলী,সদস্য আলহাজ্ব এম শামসুদোহা,

মানববন্ধনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সৈয়দপুর ইউনিয়নের কাজী এনামুল বারী, এ্যাডভোকেট আইনুল কামাল, বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন মাছুম,মুরাদপুর ইউনিয়নের আকবর হোসেন, সরোয়ার কামাল,বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ, শাহদাত হোসেন রাসেল,বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মো ছালামত উল্লাহ,কুমিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো ইদ্রিস মিয়া মনের, মো জাহাঙ্গীর চৌধুরী (সাবেক চেয়ারম্যান), নাজিম উদ্দিন, মো. রবিউল হোসেন,ভাটিয়ারী ইউনিয়নের নূরুল আনোয়ার ( সাবেক চেয়ারম্যান), খুরশেদ আলম,সলিমপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলম, মো নাজিম উদ্দিন সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকশত সাধারণ জনগণ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ রাতের আধারে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ নিজেদের অপকর্মের ভয়ে পালিয়ে থেকে জনগণকে সেবা থেকে বঞ্চিত করছে। জনগণ কোনো সেবা পাচ্ছে না-জন্ম-মৃত্যু সনদ,ট্রেড লাইসেন্স,ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র, সরকারি ভাতার যাচাই-বাছাই বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প,রাস্তাঘাট মেরামত, ত্রাণ বিতরণ,ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড বিতরণ সব অচল হয়ে পড়েছে। গরীব মানুষ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রার্থী সবার ন্যায্য অধিকার থমকে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জনগণ তালা ঝুলতে দেখে ফিরে আসছে। একটি নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থার প্রধান শর্ত হলো জনগণের প্রতি দায়িত্বশীলতা। কিন্তু যাদের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেনি কিন্তু ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসন শাসনের আমলে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান পদ দখল করার কারণে তারা নিজেরাই জনগণকে ফেলে পালিয়েছে। কিছুদিন আগে তারা পরিষদে আসার জন্য সীতাকুণ্ডের ৭ চেয়ারম্যান আদালতে রিট করে দায়িত্ব পেতে। আদালত রিটকারী চেয়ারম্যানদের পরিষদের আসার নির্দেশ দেয়ার পরও কোনো চেয়ারম্যান অফিসে এসে দায়িত্ব পালন করছেননা। অথচ তাদের করা রিটের কারণে প্রশাসনিক বিকল্প ব্যবস্থাও আদালতের নির্দেশে এখন বন্ধ। জনগণ বিভিন্ন ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত। যেসব চেয়ারম্যান পলাতক বা জেলহাজতে তাদের স্থলে অস্থায়ী প্রশাসক প্রতিনিধি নিয়োগ করে ইউনিয়নের কাজ চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান জনসাধারণ। অভিলম্বে জনগণের সেবাদানে প্রশাসনিক ব্যবস্হা পূনরায় চালু করার জোর দাবী জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ