মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

পোরশায় ১৭০ তম মহান সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা

জলাশ পাহান স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

জলাশ পাহান স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ

নওগাঁর পোরশায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৭০তম সিঁধু-কানু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
৩০শে জুন সোমবার পোরশা উপজেলা গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়নের সারাইগাছী আদিবাসী পাড়ায় পোরশা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উদ্যোগে ধীরেন লাকড়ার সভাপতিত্বে ও আইচন পাহান এর সঞ্চালনায় ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৭০তম সিধু-কানু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচিত্রা তির্কী সভাপতি জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি,নরেন পাহান সাধারণ সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, সুভাষ চন্দ্র হেমব্রোম সাংগাঠনিক সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি,টুনু পাহান সাধারণ সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ চাপাইনবাবগঞ্জ, মেরিনা টুডু সহ সভাপতি জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পোরশা,নিতাই চন্দ্র পাহান সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় আদিবাসী পরিষদ পোরশা, রাজেন্দ্র নাথ শিং সাধারণ সম্পাদক নিতপুর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ,ভাদুয়া হাসদা সভাপতি গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ যীশু মুর্মু আদিবাসী নেতা মর্শিদপুর ইউনিয়ন ।

অন্যান্যদের মধ্যে নিরেন পাহান সভাপতি আদিবাসী ছাত্র পরিষদ পোরশা, বিমল পাহান সাংগঠনিক সম্পাদক আদিবাসী ছাত্র পরিষদ পোরশা,পুর্ন এক্ক্ আদিবাসী সংগঠক এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের আদিবাসী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে বলেন সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁতাল হুল-হলো ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, এই আন্দোলনে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিলো, যার সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়।

তারা আরও বলেন, ইংরেজ শাসনামলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন, ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাঁদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলে।বক্তব্যে আরও বলেন দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীরা আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেতে যে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এই দিবসের মাধ্যমে তারা বর্তমান সরকারের কাছে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবী জানান এছাড়া বাংলাদেশের আদিবাসীদের উপর যে ধর্ষণ, জমি, ভিটা বাড়ি অবৈধভাবে দখল বন্ধ করার দাবি জানান

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ