মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড(প্রতিনিধি:
শুরু হলো রক্তাক্ত জুলাই ২০২৪ সালের এই দিনে সূচনা হয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের চুড়ান্ত অভিযাত্রা।যার উপর ভর করে এগোই, রক্ত গঙ্গা পেরিয়ে তৈরি হয় স্বৈরাচারীদের করুণ পরিনতি । এক মাসের বেশি ধরে চলা রক্তাক্ত এই আন্দোলনে চলা পরিণতি ঘটে ফ্যাসিবাদীর পরিণতির মাধ্যমে। গৌরবময় এই আন্দোলনের সেই গৌরব কতটুকু অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছে বিপ্লবীরা! চরম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখাতে মানুষের প্রত্যাশা পূরণের ঐক্যমতের জোর দিয়েছে সাধারণ মানুষ।
স্বাধীনতার পরবর্তীতে এই দেশে বেশ কয়েক বার মাথা চারা দেয় স্বৈরাচার সব স্বৈরাচারের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সেই ১৬ বছরের অবসান। বিরোধী মতকে নিশ্চিন্ন করা ছিলো শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র। এই সময় ফ্যাসিষ্ঠ বিতরিত করতে ব্যক্তি পর্যায়ে অভিনব আন্দোলন ছিল দশ্যমান এবং অভাব ছিল সম্মিলিত আন্দোলনের।
অবশেষে সেই তৃষ্ণা মিটে পহেলাই জুলাই কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে চার দফা দাবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শুরু হয়, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি।দুই থেকে ছয় জুলাই দেশের ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন,অবরোধসহ বিভিন্ন জোটের আগুন।আসে বাংলা বকেটের মতো কর্মসূচি এই কর্মসূচিতে শিক্ষর্থীদের উপর হামলা করে ছাত্র-লীগ ও সরকারের পেটোয়া বাহিনী। ১৪ জুলাই আন্দোলনগত শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতি বরাবরে স্মারক লিপি দেয়।এই দিনে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলন কারীদের রাজাকারের নাতিপুতিদের বলে তাচ্ছিল্য করেন।তাতে আন্দোলনের আগুনে ঘি ডালার অবস্তা হয়।
১৫ জুলাই সরকার প্রধানের সেই তাচ্ছিল্য বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রতিবাদ জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম। ১৬ জুলাই আন্দোলন আরও তেজী হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেই দিনই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ।এর পর কমপ্লিট শাটডাউনের সাথে চলে সর্বাত্মক কর্মসূচি।এরই মধ্যে আটক করা হয় অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে। তখনই বৈঠকে বসেন সরকারের তিন প্রতিনিধিদের সাথে। বৈঠকে উঠে আসে আরও আট দফা দাবি। এই আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র -ছাত্রদের সাথে একমত পোষণ করে, সাধারণ জণগণ, বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক দলসহ নারী পুরুষ ছোট বড় সবাই এই আন্দোলনে নেমেছেন।