উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধি।
নওগাঁর রাণীনগরে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে শহিদুল ইসলাম তুহিন (৩৮)কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় হামকলাকারী যুবক নাফিজ ওরফে সাদিক (২১) কে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ আবাদপুকুর বাজার গো-হাটি এলাকায়। আহত তুহিন আবাদপুকুর উত্তর পার এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে এবং হামলাকারী যুবক নাফিজ আবাদুকুর বেবিস্ট্যান্ড এলাকার মৃত খায়রুল ইসলামে ছেলে।
আহত তুহিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে গো-হাটি এলাকায় স্টলের বারান্দায় বসে চা পান করছিলেন। এসময় নাফিজ এসে প্রথমে থাপ্পর মারে। এর পর দৌড়ে পালানোর সময় ধারালো ছুরি দিয়ে পেটে এবং বুকে মোট চার স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এসময় লোকজন দেখতে পেয়ে নাফিজকে বাধাদিতে গেলে নাফিজের ছুরিকাঘাতে জিয়ারুল ইসলাম নান্নু (৪২) ও তুহিনের ছোট ভাই শাফি (২৮) ও আহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তুহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এছাড়া স্থানীয় লোকজন হামলাকারী নাফিজকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে হামলায় ব্যবহৃত ছুরিসহ নাফিজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কি কারনে এমন হামলা করা হয়েছে তা বলতে পারেনি তুহিন।
প্রত্যক্ষদর্শী জিয়ারুল ইসলাম নান্নু বলেন, বুধবার ছিল আবাদপুকুর গরু-ছাগলসহ হাটবার। তিনি বলেন, আড়তে বসে ধান কিনছিলাম। এসময় তুহিন চিৎকার করে দৌড়ে পালাচ্ছিল। আমরা নাফিজকে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছি। তিনি বলেন, নাফিজের সাথে ৫/৭টি মোটরসাইকেলে ৮/১০ছিল। কিন্তু হাটের লোকজন তুহিনকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে নাফিজের সহযোগিরা পালিয়ে যায়। তিনিসহ আহত শাফি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান নান্নু। রাণীনগর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদি মাসুদ বলেন, তুহিনের উপর হামলার বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে পূর্বের কোন জ্বের ধরে এহামলা হতে পারে। স্থানীয়রা হামলাকারী নাফিজকে ছুরিসহ আটক করে। এঘটনায় আহত তুহিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।