শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডে কোরবানির হাট এখনো জমেনি, ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

মো:রমিজ আলী, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)।
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ জুন, ২০২৫
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

মো:রমিজ আলী,
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)।

কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসলেও এখনও তেমন জমে ওঠেনি সীতাকুণ্ডের গরু-ছাগলের হাটগুলো। ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন হাটের ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা।

শনিবার এবং রোববার সরেজমিনে দেখা যায়,সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যেবাহী বড় কুমিরা গরুর হাট এবং ঐতিহ্যবাহী ফকিরহাট গরুর হাটে, ক্রেতার সমাগম খুব একটা নেই। গুটি কয়েকজন যারাই আসছেন, তারা দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া হাট পর্যাপ্ত বড় হলেও গরুর সংখ্যা তুলনামূলক একেবারেই কম ছিল।

ফকিরহাট গরু হাটে বগুড়া থেকে দশটি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী নিজাম। তিনি বলেন, ‘বগুড়া থেকে দশটি গরু এনেছি। কিন্তু হাটে ক্রেতা তেমন একটা নাই। যারা আসছেন তারা গরু দেখার জন্য আর দাম জানার জন্য আসছেন। আশা করছি কাস্টমার আসবে। এখনও একটা গরুও বিক্রি হয়নি। হাটে ক্রেতা একেবারেই কম।’

অপর দিকে উপজেলার বড় কুমিরা গরুর হাটে কুমিরা এলাকা থেকে স্থানীয় মো:কাশেম ৫-৬টি গরু হাটে এনেছেন সেই, তিনি বলেন, ‘সবগুলো গরুই উন্নত জাতের এবং বাজারের সবচেয়ে সুন্দর গরু। সবগুলো গরুর রং লাল, কালো এবং স্বাস্থ্যবানও। তবে এখন পর্যন্ত গরু বিক্রি হয়নি, হাটে ক্রেতা খুবই কম।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম। তাছাড়া গরুর দাম নিয়েও ক্রেতারা উদ্ভিগ্ন। অনেকে গরু অনুযায়ী বাজেটে মেলাতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।’

এবারের হাটে লাখ টাকার নিচে গরু পাওয়া কঠিন। একটি ভালো মানের গরুর দাম রয়েছে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার কাছাকাছি।

আগত ক্রেতা গোলাবাড়িয়ার কামরুল হাসান বলেন, ‘হাটে আসলাম গরু দেখছি, তবে যে গরুই পছন্দ হচ্ছে তার দাম একটু বেশি। দেখা যাক যদি পাই নিব, না হয় পরের হাটগুলোতে দেখব।’

বড় কুমিরা গরু হাটে আসা আরেক ক্রেতা ফুয়াদ বিন ফয়েজ বলেন, ‘গরু ৪-৫ টি দেখেছি। একটি গরু ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত বলেছি। সেই গরুটি ১ লাখ ৩৫ হাজার হলে বিক্রি করবে বলে জানিয়ে দেয় বিক্রেতা। এখন আর দেখব না, আগামী মঙ্গলবার বার বড় কুমিরা গরু হাটে দেখব।’

এদিকে বড় কুমিরা গরু হাটের ইজারাদার মো মন্জুর হোসাইন মন্জু নন্দিত টেলিভিশন কে বলেন,প্রথম দিনে তেমন ক্রেতা এবং বিক্রেতা আসে নাই,আগামী মঙ্গলবার বার বড় কুমিরা গরু ছাগলের হাটে সবার আগমন হবে হলে আশাবাদী।

অপর দিকে ফকিরহাট বাজারের স্থায়ী ইজারাদার বেলাল উদ্দীন জানান, ‘আমরা স্থায়ী ইজারাদার। এবছর ভ্যাটসহ প্রায় ৮০ লাখ টাকা নিয়েছিলাম সমিতির ৩০ জন। আমরা কোরবানির হাট পেয়েছি দুইদিন। বৃষ্টির কারনে মানুষ এত আগে গরু কিনতে চাচ্ছে না। সকাল থেকে ৮০-৮৫ টি গরু বিক্রি হয়েছে।’

সীতাকুণ্ডের স্থায়ী হাটগুলো হলো- ফকির হাট ও কুমিরা হাট।

অস্থায়ী হাটগুলো হলো- সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাট,তোহর আলী ভূঁইয়ার হাট, মিয়াজন ভূঁইয়ার হাট, বারৈয়ারঢাল ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট, পৌরসভার হাইস্কুল মাঠে মহন্তের হাট, মুরাদপুর ইউনিয়নের বাংলা বাজার হাট, বাড়বকুণ্ডে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, বাঁশবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, সোনাইছড়িতে মদন হাট, ভাটিয়ারীতে মাদামবিবির হাট, সলিমপুরে ফৌজদারহাট সলিমপুর সিডিএ এলাকা।

ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে অস্থায়ী কোরবানির পশুরহাটের ইজারা উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশুর বাজার শেষ হওয়ার পর ইজারাদার নিজ খরচে অস্থায়ী হাট বাজার পরিষ্কার করবেন। অন্যথায় ৩০% জামানত হিসেবে প্রদত্ত অর্থ দ্বারা হাট বাজার এলাকা পরিষ্কার করা হবে এবং জামানতের অবশিষ্ট অর্থ (যদি থাকে) ইজারাদাকে ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ