এমদাদুল হক স্টাফ রিপোর্টার (ভোলা)
ভোলায় ঘুর্ণিঝড় শক্তির তান্ডবে ৮০-১০০ কিঃ মিঃ বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে, যার ফলে জেলার প্রায় সকল জায়গায় গাছ- পালা ভেঙ্গে গেছে। গাছের ডালের চাপা পড়ে ভেঙে গেছে অনেক ঘর বাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের দেখা মিলছে, ঘুর্ণিঝড়ের সাথে সাথে নদীর জোয়ারের চাপে পানি ফুঁসে উঠেছে, এতে করে এখন পর্যন্ত দুই জায়গায় বেরিবাঁধ ভেঙ্গে দ্বীপ জেলাটির অনেক অংশই প্লাবিত হয়েছে। চরফ্যাশনের খেজুর গাছিয়া এবং তজুমদ্দিনে এখন পর্যন্ত বেরিবাঁধ ভাঙণের খবর পাওয়া গেছে। ডুবে গেছে হাজার হাজার পুকুর, এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজার হাজার মাছ চাষি।
উপকূলীয় অঞ্চলে পানি বন্দি মানুষদের উদ্ধার কাজ করছে কোর্স গার্ট, নৌবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টিম, সাথে সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক টিমও অংশগ্রহণ করেন উদ্ধার অভিযানে। উপকূলীয় এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে নেওয়া হয় আশ্রয় কেন্দ্রে। বিভিন্ন চরে আটকে পরা হাজার হাজার গবাদি পশু পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, এর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা বেশি। প্লাবিত হয়েছে ভোলার মূল ভুখন্ডসহ আশেপাশের ছোট ছোট অনেক দ্বীপ, চর কুকরী মুকরী, চর পাতিলা, ঢালচর, চর নিজাম, এবং জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মনপুরাও রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। এসব অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাবার স্যালাইনের, সংকট তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার খামারি এবং মাছ চাষিরা। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩ ফিট, কোন কোন জায়গায় চার থেকে পাঁচ ফিট পানি প্লাবিত হয়েছে।
আশংকা করা হচ্ছে যদি ঘুর্ণিঝড় শক্তি আরো আক্রমণান্তক হয়ে প্রবল বেগে উপকূলে আঘাত হানে তাহলে, জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি ঘূর্ণিঝড় শক্তির তান্ডব বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে নদীর ভাটির সাথে সাথে পানিও কমা শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ংকর প্রভাবে পুরো জেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি সময়ে ফুটে উঠবে ক্ষত চিহ্ন। বুঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।