বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন

প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ভ্রাম্যমাণ কক্সবাজার পাবলিক টয়লেটের অনুমতি নিয়ে স্থায়ী স্থাপনা :

মোঃ নুরুন্নবী কক্সবাজার শহর প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ নুরুন্নবী কক্সবাজার শহর প্রতিনিধি

সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পাবলিক টয়লেটের অনুমতি নিয়ে স্থায়ী স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

রবিবার (২৫ মে ) রাতে সুগন্ধা পয়েন্ট রাস্তা লাগোয়া পাবলিক টয়লেট নির্মানের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে দেওয়া হয় এবং উচ্ছেদ চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা পর্যটন সেলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি।

তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের অনুমতি নিয়ে স্থায়ী স্থাপনা করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছিল। অনুমতি দেওয়া কার্ডের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় ধাপে ধাপে সব অবৈধ ভ্রাম্যমাণ পাবলিক ওয়াশরুম উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এ ধরনের অবৈধ স্থাপনা শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্যেও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি, ধাপে ধাপে উচ্ছেদ করা হবে ও অননুমোদিত কার্যক্রম মেনে নেওয়া হবে না।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নামমাত্র অনুমোদন থাকলেও সেটির মেয়াদ দীর্ঘ এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন, শেষ হয়ে গেছে। তদুপরি, ব্যবহার ও পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সরকারি নীতিমালা মানা হচ্ছিল না।

এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে পর্যটন ম্যাজিস্ট্রেটের এর সঙ্গে সাবেক কাউন্সিলর নাছিমার সাথে মৃদু বাকবিতণ্ডতা হয়।

সাবেক কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার বকুল বলেন, এখানে স্থায়ী বলতে কোন কিছু নেই শুধু ফ্লোরটাই স্থায়ী করা হয়েছে আর সবগুলো ভ্রাম্যমাণ। তিনি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ছোট ব্যবসা গুলোতে যদি প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি করে ভেঙ্গে দেওয়া হয় তাহলে মনে করবো আমাদের ব্যবসা বানিজ্য কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ পাবলিক টয়লেটটি পরিচালনা করছিলেন সোহেল নামের এক ব্যক্তি।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ