মোঃ আসিফ ইকবাল রকি
চৌগাছা প্রতিনিধি।
যেখানে থেমে যেতে পারত স্বপ্ন, সেখান থেকেই শুরু হলো এক নতুন দিগন্ত। যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার ধূলিয়ানী ইউনিয়নের ধূলিয়ানী গ্রামের এক অতি সাধারন পরিবারের ছেলে আলিফ মাহমুদ।পিতা মোঃ মিলন গাজি। ঝড়ের রাতে টিমটিমে আলোটুকু যেমন পথ দেখায়, তেমনি আলিফ মাহমুদের জীবনেও আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন তারই বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক সেলিম রেজা ও এস এম হাবিব পৌর কলেজের মানবিক ও শিক্ষা-সঞ্জীবনী অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক স্যার।
পারিবারিক টানাপোড়েন আর অর্থনৈতিক চাপে প্রায় থেমে গিয়েছিল আলিফের শিক্ষাজীবন। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর কিছু শিক্ষক যদি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় পরিবার, তাহলে এমন অলৌকিক পুনর্জন্ম সম্ভব। আজ সেই আলিফ মাহমুদ পেরিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার। মেধাক্রম ৮০১—শুধু সংখ্যা নয়, এটি তার হার না মানা লড়াইয়ের ছাপ রেখে যাওয়া এক বিজয়চিহ্ন।
এই সাফল্যের পেছনে যেমন ছিল নিজের অধ্যবসায়, তেমনি ছিল শিক্ষকদের দোয়া ও নিরন্তর উৎসাহ। তারই বানিজ্য বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মুজিদ, রেখা খাতুন এবং আবু হানজালা স্যারের চোখে জল—এটি শুধুই আবেগ নয়, এটি একজন ছাত্রের প্রতি শিক্ষকসুলভ ভালোবাসা ও গর্বের প্রতিচ্ছবি।
২০২৫ সালে এস এম হাবিব পৌর কলেজ যেন পরিণত হয়েছে সাফল্যের কারখানায়। একে কেউ কেউ বলছেন ‘চান্সের স্বর্গ’।এই প্রতিষ্ঠান প্রমাণ করেছে সঠিক দিক নির্দেশনা, নিবেদিত শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মিলনেই গড়ে ওঠে সাফল্যের ইতিহাস। দেশের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এস এম হাবিব কলেজ থেকে এই বছর এখন পর্যন্ত চান্স প্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৯ জন।
ধূলিয়ানীর মাটিতে জন্ম নেওয়া আলিফ মাহমুদের এই বিজয়গাথা আরও শত শিক্ষার্থীকে সাহস দেবে স্বপ্ন দেখার ও তা ছুঁয়ে দেখার।